জানুয়ারিতে দেশে ভ্যাকসিনের প্রথম ৫০ লাখ ডোজ আসছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

জানুয়ারিতে দেশে ভ্যাকসিনের প্রথম ৫০ লাখ ডোজ আসছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক ; আগামী জানুয়ারি মাসের শেষ দিকে অথবা ফেব্রুয়ারির শুরুতেই যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রেজেনেকার তৈরি করোনার ভ্যাকসিন আসবে বলেও আশা করছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। ভারতের সিরাম ইন্সটিটিউট থেকে অক্সফার্ডের ভ্যাকসিন আনার জন্য বেক্সিমো ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেডের সঙ্গে ভ্যাকসিন ক্রয় সংক্রান্ত চুক্তি সম্পন্ন করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। গতকাল রোববার স্বাস্থ্য অধিদফতরে এ চুক্তি হয়। পরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, গত ৫ নভেম্বর এ বিষয়ে একটি সমঝোতা চুক্তি হয় তাদের সঙ্গে। সেখানে নীতিগত ভাবে সিদ্ধান্ত অক্সেফোর্ডের এ ভ্যাকসিন সেরাম ইন্সটিটিউটরে কাছ থেকে কিনে নেব। সেখানে অনেকগুলো শর্তও ছিল। তার মধ্যে একটি শর্ত ছিল ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে ক্রয় সংক্রান্ত চুক্তি করতে হবে, আজ সেটা করে ফেলা হলো এবং সেটা সেরাম ইন্সটিটিউটকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে, যাতে তারা তাদের কাজ সম্পন্ন করে আবার আমাদের দিতে পারে। এরপর পরবর্তীতে ধাপ অনুযায়ী কাজ হবে। মন্ত্রী আরও বলেন, তবে এ ডোজের মধ্যে সব একবারে আসবে না। প্রথম ধাপে আসবে ৫০ লাখ ডোজ। এরপর প্রতি ধাপে ৫০ লাখ করে ভ্যাকসিন আসবে। তিনি আশাবাদ প্রকাশ করে বলেন, জানুয়ারি মাসের কোনও একসময় এ ভ্যাকসিন আনতে পারবো, যদি কিনা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন হয়ে যায়। সিরাম ইন্সটিটিউট আশা করছে তারা অনুমোদন পেয়ে যাবে, আর অনুমোদন পেয়ে গেলেই আমাদের এ তিন কোটি ডোজ ভ্যাকসিন বাংলাদেশে নিয়ে আসবো। এবং ভ্যাকসিন আনার ব্যবস্থা হয়েছে, রাখার ব্যবস্তা হয়েছে এবং ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য যে জনবল তার প্রশিক্ষণও চলছে এবং স্থানীয়ভাবে যে যে বিষয়ের প্রয়োজন হবে স্বাস্থ্য অধিদফতর সেগুলোর ব্যবস্থা করছে এবং সবগুলোই প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। অর্থ্যাৎ আমাদের সকল প্রস্তুতি আমরা আশা করি এর মধ্যে সম্পন্ন করতে পারবো। আর দেশের ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের অনুমোদনের বিষয়ও আছে। আশা করছি, শিগগিরই অনুমোদন পাওয়া যাবে, বলেও জানান তিনি। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এ তিন কোটি ডোজ একবোরে আসবে না, আসবে ছয় মাসে। অর্থ্যাৎ প্রতিমাসে আমাদের তারা ৫০ লাখ করে ডোজ দেবে এবং আমরা সেই ৫০ লাখ ডোজ ২৫ লাখ মানুষকে দিতে পারব। প্রতিটি প্রতিটি মানুষের জন্য দুইটি করে ডোজ প্রয়োজন হবে বলেও জানান তিনি। অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা ও অতিরিক্ত মহাপরিচালক (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::

More News...

১৬৯ কর্মচারিকে চাকরিচ্যুত করলো রাসিক

মেহেন্দিগঞ্জ পল্লী কর্মসংস্থান ও সড়ক রক্ষণাবেক্ষণের কর্মসূচি-৩ পরকল্পের চেক বিতরণ