এতে শহরের চকবাজার জামে মসজিদের খতিব ও সামমুল উলুম মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মুফতি মাওলানা কামরুজ্জামান ইমামতি করেন।
এর আগে বাদ জুমা দুপুর সোয়া ২টার দিকে রাজেন্দ্র কলেজ ময়দানে একটি লাশবাহী গাড়িতে করে ময়েজমঞ্জিল হতে চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের লাশ আনা হয়। তখন সেখানে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
জানাজাপূর্ব সেখানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন পরিবারের পক্ষ থেকে মরহুমের বড় মেয়ে চৌধুরী নায়াব ইবনে ইউসুফ, জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, শরিয়তপুরের বাহাদুরপুর দরবার শরীফের প্রতিনিধি হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ হানজেলা, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জহিরুল হক শাহজাদা মিয়া, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি শিল্পপতি এ কে আজাদ, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম রিংকু, ঢাকা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম প্রমুখ।
জানাজার পর রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে তার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়। এসময় বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষ হতে ছাড়াও জেলা বিএনপির পক্ষ হতে মোদাররেস আলী ঈসা, জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ হতে সৈয়দ মাসুদ হোসেন, কোতয়ালী থানা বিএনপি, শহর বিএনপি, রাজবাড়ি ও মাদারিপুর জেলা বিএনপি, জেলা যুবদল, মহানগর যুবদল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল, জেলা তাতী দল, জেলা ছাত্রদল, মহানগর ছাত্রদল, ফরিদপুর প্রেসক্লাব, চকবাজার বণিক সমিতিসত বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ হতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়।
জানাজা শেষে বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে রাজেন্দ্র কলেজ ময়দান থেকে তার লাশ ময়েজমঞ্জিলে নিয়ে যাওয়া হয় দাফনের জন্য।
বুধবার বেলা ১টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে মারা যান চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ। তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। এ ছাড়া তিনি দীর্ঘদিন ধরে ফুসফুসের সমস্যায় ভুগছিলেন। গত ২৯ নভেম্বর তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন।
বিএনপির এই নেতা ফরিদপুর–৩ আসন থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মন্ত্রিসভায় ১৯৯১ সালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও ২০০১ সালে খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন