ঢাকা: বছর ঘুরে এসেছে বাঙালির মুক্তির মাস। আর ক’দিন পরেই দেশবাসী উদযাপন করবে ৪৯তম বিজয় দিবস।বিজয় দিবসকে সামনে রেখে পতাকা নিয়ে পথে প্রান্তরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন মৌসুমি ফেরিওয়ালারা। বিজয় দিবসকে আনন্দঘন করতে জাতীয় পতাকা ছড়িয়ে দেওয়াই যেন তাদের কাজ। বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) লাল সবুজের পতাকা হাতে নগরে মেলে অনেক ফেরিওয়ালার। তাদেরই একজন কিশোরগঞ্জের কটিয়াদি উপজেলার নবারুণ রায়। রাজধানীর নতুন বাজার এলাকায় কথা হয় তার সঙ্গে। তিনি বলেন, বিজয়ের মাসে পতাকা বিক্রি করে যেমন আনন্দ পান, তেমনি উপার্জনও ভালো হয়। নবায়রুণ রায় জানান, ডিসেম্বর, ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাস এলেই লাল সবুজের পতাকা হাতে নিয়ে নগরের পথে প্রান্তরে ঘোরেন। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত একপ্রান্ত আরেক প্রান্ত ঘুরে পতাকা বিক্রি করেন। তিনি জানান, তার কাছে ২০, ৩০, ৪০, ৫০, ৮০, ১০০, ১৫০, ২০০, ৩০০, ৪০০ ও ৫০০ টাকা দামের পতাকা রয়েছে। প্রতিদিন প্রায় ৪০০-৫০০ পতাকা বিক্রি হয় জানিয়ে আরেক ফেরিওয়ালা শায়েখ মিয়া বলেন, ঢাকার মোহাম্মদপুর থেকে পতাকা কিনে বিক্রি করেন। প্রতিদিন যে আয় হয়, খরচ বাদে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা পর্যন্ত লাভ হয়। আরেক তরুণ মিনহাজ উদ্দিন। রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার গেটে পতাকা কাঁদে নিয়েই ফেরি করতে দেখা যায় তাকে। মিনহাজ বলছিলেন, ডিসেম্বর মাস আসলে মানুষের মনে আবেগ কাজ করে। যে মাসটিতে আমরা বিজয় অর্জন করেছি। তাই মানুষের সেই আবেগ অনুভূতির পূর্নাঙ্গ রূপ দিতেই ডিসেম্বর মাস আসলে লাল সবুজের পতাকা বিক্রি করি। এ তরুণ বলেন, পতাকা কাঁদে নিয়ে বিক্রি করতে ভালোই লাগে। সব শ্রেণি-পেশার মানুষই পতাকা কিনে। আয়ও ভালো হয়। এ মাস শেষ হলেই আবার গ্রামে ফিরে যায় নরসিংদীর ছেলে মিনহাজ উদ্দিন। রাজধানীর বিজয় সরণী সিগন্যাল মোড়। সিগন্যালে গাড়ি থামলেই পতাকা নিয়ে দৌড়ে যায় তরুণ আকিব। গাড়ির চালক-যাত্রীকে পতাকা কেনার অনুরোধ করেন। আকিবের কাছ থেকে পতাকা কিনেছেন শিহাব উদ্দিন। তিনি বলেন, বিজয়ের মাস এলেই পতাকা কিনে গাড়ির সামনে রাখি। আর এ ধরনের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের কাছ থেকে পতাকা কিনলে তারাও লাভবান হয়।
শুধু এরাই নয়, বাঙালির মুক্তির এ মাস আসলেই গ্রাম থেকে নগরে চলে আসে অনেক যুবক-তরুণ। যারা এ মাস শেষ হলেই আবার ফিরে যায় গ্রামে।