নিজস্ব প্রতিবেদক : স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বর্তমান অবস্থান থেকে পাঁচ বছর পর ভবিষ্যতের অবস্থান নির্ধারণ করাই অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার মূল লক্ষ্য। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর প্রাক্কালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য প্রণীত প্রেক্ষিত পরিকল্পনার প্রথম ধাপ অষ্টম পঞ্চবার্ষিক (২০২১-২০২৫) পরিকল্পনা। গতকাল বুধবার সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের আয়োজনে ‘অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা দলিলের চূড়ান্ত খসড়ার ওপর পরামর্শ সভা’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি। স্পিকার বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সময়ে ১৯৭৩ সালে প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছিল, যার ধারাবাহিকতায় পরবর্তীতে অন্যান্য পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা ও প্রেক্ষিত পরিকল্পনার গুরুত্ব অত্যন্ত গভীরভাবে অনুধাবন করে বলেই ধারাবাহিকভাবে পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনাগুলো প্রণয়ন করা হচ্ছে। মুজিববর্ষে গৃহীত অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা কার্যকর ভূমিকা রাখবে। ড. শিরীন শারমিন বলেন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বৈষম্য নিরসন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, পরিবেশগত উন্নয়ন, মানবসম্পদ উন্নয়নের মতো সাধারণ বিষয়গুলো পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার প্রাণশক্তি। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে সফলতা ও অর্জনগুলো জাতিকে ‘প্রমোটিং প্রসপারিটি’ তথা সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যাচ্ছে। সরকারের লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলা, যেখানে দারিদ্র্যের হার নেমে আসবে ৩ শতাংশে এবং চরম দারিদ্র্যের হার হবে ১ শতাংশের কম, শহর ও গ্রামের বৈষম্য কমে সব ধরনের নাগরিক সুবিধা গ্রামে বিস্তৃত হবে, গড় আয়ু ও জিডিপি বৃদ্ধি পাবে। এর মাধ্যমে স্বল্পোন্নত দেশ হতে ২০২৪ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হতে সক্ষম হবে বাংলাদেশ। তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারিতে অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতির কারণে সঙ্গতভাবে প্রবৃদ্ধি ৫.২ ভাগে নেমে এলেও প্রধানমন্ত্রীর গৃহীত পদক্ষেপে পৃথিবীর অনেক দেশ থেকেই বাংলাদেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে। প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে ও কোভিড-১৯ মহামারি চ্যালেঞ্জগুলো থেকে উত্তরণে ইতিবাচক পদক্ষেপগুলো পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়া ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে আমির হসেন আমু এমপি, তোফায়েল আহমেদ এমপি, মতিয়া চৌধুরী এমপি, আবুল কালাম আজাদ এমপি, শাহজাহান খান এমপি, সাবের হোসেন চৌধুরী এমপি, মেহের আফরোজ এমপি, আবিদা আঞ্জুম মিতা এমপি, রাশেদ খান মেনন এমপি, সিমিন হোসেন রিমি এমপি, মকবুল হোসেন এমপি, এ বি তাজুল ইসলাম এমপি ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা দলিলের চূড়ান্ত খসড়া উপস্থাপন করেন সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম।