ঢাকা: বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার পেছনে যাদের ইন্ধন রয়েছে তাদের শাস্তির আওতায় আনার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি।
রোববার (৬ ডিসেম্বর) একাদশ জাতীয় সংসদের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ১৬তম বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়।কমিটির সভাপতি শাজাহান খানের সভাপতিত্বে সংসদ ভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।কমিটির সদস্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, এ বি তাজুল ইসলাম, কাজী ফিরোজ রশীদ, ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল ও মোছলেম উদ্দিন আহমদ বৈঠকে অংশ নেন।বৈঠকে কল্যাণ ট্রাস্টের সম্পত্তি নিয়ে দায়েরকৃত মামলাসমূহ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীকে আহ্বায়ক করে গঠিত কমিটির কার্যক্রম, ৬ নম্বর সাব কমিটির প্রথম বৈঠকের সুপারিশসমূহ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা স্তম্ভ নির্মাণের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করা হয়।বৈঠকে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণের বিরোধিতাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে উল্লেখ করা হয়। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণের বিরোধিতা করে বিভিন্ন ওয়াজ ও কুষ্টিয়াতে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্য ভাঙার ন্যাক্কারজনক ঘটনায় কমিটির পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। এছাড়া ঘটনার পেছনে যাদের ইন্ধন ও হাত রয়েছে তাদের শাস্তির আওতায় আনার সুপারিশ করা হয়।মুক্তিযোদ্ধাদের নামে স্কুল, কলেজ, রাস্তা, সেতু ও কালভার্টের নামকরণ প্রক্রিয়াকে ত্রুটিমুক্ত রাখতে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়কেও যাচাই-বাছাই করার সুপারিশ করা হয়।মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বাধ্যতামূলক ছুটি দেওয়ার বিষয়টি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে মর্মে বৈঠকে জানানো হয়।মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক স্থানসমূহ সংরক্ষণ ও স্মৃতি জাদুঘর নির্মাণ কার্যক্রম হিসেবে দেশের ৬৪টি জেলার ২৯৩টি উপজেলার ৩৬০টি স্থানে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ/জাদুঘর নির্মাণের সংস্থান রয়েছে। প্রকল্পের আওতায় এ পর্যন্ত ১০৪টি স্থানে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং ১২৪টি স্থানে নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে মর্মে বৈঠকে জানানো হয়।বৈঠকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিভিন্ন সংস্থা প্রধানসহ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।