নিজস্ব প্রতিবেদক ; তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ইসলাম কারো কাছে লিজ দেওয়া হয়নি। পাকিস্তান সৃষ্টির পর ইসলামের কল্যাণের জন্য শেখ হাসিনা যে কাজ করেছেন, তা আর কেউ করেনি। বঙ্গবন্ধুও কাজ করেছেন, কিন্তু তিনি খুব সময় পাননি। শেখ হাসিনা একমাত্র ব্যক্তি, যিনি বাংলাদেশে ইসলামের কল্যাণে সবচেয়ে বেশি কাজ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী এক লাখ মসজিদ তৈরি করে দিয়েছেন। ইমাম-মুয়াজ্জিনরা ভাতা পাচ্ছেন। কওমি সনদকে মান দেওয়া হয়েছে। সুতরাং ইসলামের জন্য বেশি কাজ আর কেউ করেনি। গতকাল রোববার দুপুর ১টায় রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে গণতন্ত্রের মানসপুত্র হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত ‘গণতন্ত্রের মানসকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, যারা ফতোয়া দিচ্ছে ভাস্কর্য হারাম, ভাস্কর্য যদি অগ্রহণযোগ্য হয়, তাহলে তাদের বাবার ছবিও নিজের কাছে রাখাও ঠিক নয়। এসব বক্তব্য দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করা যাবে না। যারা ভাস্কর্য নিয়ে আঘাত হেনেছে, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া জনগণের দাবি। জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ানোর জবাব দেওয়া হবে। ‘নিজের মতো মনগড়া ফতোয়া দেবেন না। ভাস্কর্য নিয়ে বিভ্রান্তমূলক বক্তব্য দেবেন না। মানুষ যেভাবে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠছে, ছাড় পাবেন না। এ দেশ সব সম্প্রদায়ের। এখানে সমানভাবে সকলে বসবাস করবে। তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, যে শক্তি বলেছিল পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লড়াই করা হারাম, যুদ্ধে নারীদের ধর্ষণ করা জায়েজ, তারাই আজ ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে কথা বলছে। এমনকি সৌদি আরবের সড়কে সড়কে শাসকদের ভাস্কর্য রয়েছে। ইরানের খোমেনির ভাস্কর্য রয়েছে। পাকিস্তানেও ভাস্কর্য রয়েছে। ভাস্কর্য না রাখা গেলে যারা ফতোয়া দিচ্ছেন, তাদের বাবার ছবিও নিজেদের কাছে রাখা যাবে না, এটা তাদের ফতোয়া অনুযায়ী। বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের উপদেষ্টা চিত্তরঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানার সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলম, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব শাবান মাহমুদ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অভিনেত্রী তারিন জাহান প্রমুখ।