নিজস্ব প্রতিবেদক : এই কান্তিকালে, এই দুর্যোগের মুহূর্তে ডিএমপির একটি নোটিশ মর্মাহত করেছে। মানুষ চলাফেরা করতে পারবে না, সভা-সমাবেশ করার জন্য অবশ্যই পুলিশকে অবহিত করা হবে। কিন্তু অনুমতি নিতে হলে আপনারা তো অনুমতি দেন না, এটা সবার জানা কথা। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় ধানমন্ডি গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের সামনে সম্প্রতি তিন বস্তিতে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত বস্তিবাসীদের মধ্যে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পক্ষ থেকে কম্বল ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধনকালে তিনি একথা বলেন প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, কাউকে সংবর্ধনা দিতে দেবেন না, বক্তব্য রাখতে দেবেন না, সমালোচনা করতে দেবেন না, এটা ভালো কাজ না। তাই আমি ডিএমপিকে অনুরোধ করছি এই নিষেধাজ্ঞা পুনর্বিবেচনার জন্য। তিনি বলেন, সভা-সমাবেশের জন্য আপনাদের জানানো হবে, যাতে আপনারা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করতে পারেন। যতগুলো বিশৃংখলা হয়েছে তার জন্য সরকারই দায়ী। আজ ভাস্কর্য-মূর্তির ঝামেলা তৈরি করতে সরকার এক দিকে মদদ দিয়েছে, অন্যদিকে যখন দেখছে সামাল দেওয়া যাচ্ছে না তখন এই অবস্থা। সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করবেন না। মিছিল-মিটিংয়ে হস্তক্ষেপ করবেন না। তবে যারা সভা-সমাবেশ করবেন তাদের প্রতি আবেদন কোনোভাবেই যেনে গাড়ি-চলাফেরা বিঘ্ন না হয়। আমাদের ক্ষুদ্র চেষ্টা আগুনে ক্ষতিগ্রস্তদের সামান্য সাহায্য। এদের সামান্য সাহায্য, সরকারের কাছেও আবেদন করছি সাহায্য করেন। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টুর সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে আরো বক্তব্য রাখেন গণস্বাস্থ্যের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মঞ্জুর কাদির আহমেদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, গণস্বাস্থ্যের এইচ আর পরিচালক আকলিমা খাতুন ও কর্মকর্তা শাহানাজ। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ডাকসুর সবেক ভিপি নুরুল হক নুর ও ঐক্যবদ্ধ ছাত্র পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদউল্লাহ মধুর কাছে এক হাজার কম্বল ও এক হাজার পরিবারের খাদ্যসামগ্রী হস্তান্তর করে। এরপর এসব ত্রাণ ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মধ্যে বিতরণ করার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।