নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে ৫০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী শিব মন্দির

নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে ৫০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী শিব মন্দির

নিজস্ব প্রতিবেদক : বগুড়ার শিবগঞ্জে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে আঁচলাই গ্রামের ৫০০ বছরের প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী শিব মন্দিরটি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে। এখানে একসময় ধর্মীয় অনুষ্ঠান, চৈত্র সংক্রান্তিতে শিব পূজা, গ্রামীণ মেলা ও গানের আসর বসতো। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা অবিলম্বে মন্দিরটি সংস্কারের অনুরোধ জানিয়েছেন। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা জানান, মন্দিরটি প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে সঠিক কোনও ইতিহাস নেই। সম্রাট শের শাহের শাসনামলে বা তার আগে শাসকরা আঁচলাই এলাকায় শিব মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেন। কারুকার্য মণ্ডিত প্রাচীন এ মন্দির দেশের প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের সংরক্ষিত স্থান হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়নি। স্থানীয় শিব ভক্তরা বংশানুক্রমে মন্দিরটির দেখভাল করে আসছেন। বিলুপ্ত প্রায় মন্দিরের দেওয়ালে পোড়ামাটির টেরাকোটার বিভিন্ন কারুকাজ রয়েছে। জেলা ও উপজেলার ওয়েবসাইটে এ মন্দিরের নাম নেই। তাই ঐতিহ্যবাহী মন্দিরটি অবহেলিত। তারা আরও জানান, কালী চরণ চক্রবর্তী নামে এক পূজারী মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেন। মন্দিরে পূজা-অর্চনা, ভক্তসেবা, সনাতন ধর্মের বিভিন্ন অনুষ্ঠান পরিচালিত হতো। এ ছাড়া এখানে সারাবছর ধর্মীয় অনুষ্ঠান, চৈত্র সংক্রান্তিতে শিব পূজা, গ্রামীণ মেলা ও গানের আসর বসতো। মন্দিরের সভাপতি নিখিল চক্রবর্তী ও সাধারণ সম্পাদক বিপুল চন্দ্র জানান, ১৪ সদস্যের পরিচালনা কমিটি রয়েছে। র্তমানে মন্দিরের অবস্থা খুবই জরাজীর্ণ। ভক্তদের নিজস্ব অর্থে যে সংস্কার কাজ চলছে তা অপ্রতুল। বর্তমানে শিব পূজা বন্ধ রয়েছে। মন্দিরটি সংস্কার করতে পারলে আশপাশের দুই শতাধিক হিন্দু পরিবার প্রার্থনা করার সুযোগ পাবেন। এ ছাড়া প্রাচীন স্থাপত্য নিদর্শনটি ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা পাবে।নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে ৫০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী শিব মন্দির
ম সমাচার রিপোর্ট
বগুড়ার শিবগঞ্জে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে আঁচলাই গ্রামের ৫০০ বছরের প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী শিব মন্দিরটি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে। এখানে একসময় ধর্মীয় অনুষ্ঠান, চৈত্র সংক্রান্তিতে শিব পূজা, গ্রামীণ মেলা ও গানের আসর বসতো। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা অবিলম্বে মন্দিরটি সংস্কারের অনুরোধ জানিয়েছেন। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা জানান, মন্দিরটি প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে সঠিক কোনও ইতিহাস নেই। সম্রাট শের শাহের শাসনামলে বা তার আগে শাসকরা আঁচলাই এলাকায় শিব মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেন। কারুকার্য মণ্ডিত প্রাচীন এ মন্দির দেশের প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের সংরক্ষিত স্থান হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়নি। স্থানীয় শিব ভক্তরা বংশানুক্রমে মন্দিরটির দেখভাল করে আসছেন। বিলুপ্ত প্রায় মন্দিরের দেওয়ালে পোড়ামাটির টেরাকোটার বিভিন্ন কারুকাজ রয়েছে। জেলা ও উপজেলার ওয়েবসাইটে এ মন্দিরের নাম নেই। তাই ঐতিহ্যবাহী মন্দিরটি অবহেলিত। তারা আরও জানান, কালী চরণ চক্রবর্তী নামে এক পূজারী মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেন। মন্দিরে পূজা-অর্চনা, ভক্তসেবা, সনাতন ধর্মের বিভিন্ন অনুষ্ঠান পরিচালিত হতো। এ ছাড়া এখানে সারাবছর ধর্মীয় অনুষ্ঠান, চৈত্র সংক্রান্তিতে শিব পূজা, গ্রামীণ মেলা ও গানের আসর বসতো। মন্দিরের সভাপতি নিখিল চক্রবর্তী ও সাধারণ সম্পাদক বিপুল চন্দ্র জানান, ১৪ সদস্যের পরিচালনা কমিটি রয়েছে। র্তমানে মন্দিরের অবস্থা খুবই জরাজীর্ণ। ভক্তদের নিজস্ব অর্থে যে সংস্কার কাজ চলছে তা অপ্রতুল। বর্তমানে শিব পূজা বন্ধ রয়েছে। মন্দিরটি সংস্কার করতে পারলে আশপাশের দুই শতাধিক হিন্দু পরিবার প্রার্থনা করার সুযোগ পাবেন। এ ছাড়া প্রাচীন স্থাপত্য নিদর্শনটি ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা পাবে।

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::

More News...

দুর্ঘটনার আশঙ্কায় জনমনে উদ্বগে বীরগঞ্জের সড়কগুলো দাপিয়ে বড়োচ্ছে কিশোর চালকরা

সন্দ্বীপে কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনা উদ্বোধন