আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই ইরান নিয়ে আক্রমণাত্মক নীতি অনুসরণ করতে থাকেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার নির্বাচনে হেরে গিয়েও সে নীতি থেকে তিনি সরেননি। বরং ইরানের পরমাণু কেন্দ্রে হামলা চালিয়ে ভোটে হারার দুঃখ কিছুটা লাঘব করতে চেয়েছিলেন বলেই মনে করছেন অনেকে। গত সপ্তাহে তিনি ইরানের প্রধান পরমাণু কেন্দ্রে হামলার পথ খুঁজেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পিছু হটতে বাধ্য হন। কারণ হামলার পরের পরিস্থিতি সামাল দিতে আমেরিকার কী অবস্থা হতে পারে তা তাকে বোঝানো হয়েছিল। এক মার্কিন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস।নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের পরমাণু প্রকল্পে হামলার ইচ্ছা প্রকাশ করে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে এ নিয়ে জানতে চান ট্রাম্প। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কার্যকরী প্রতিরক্ষামন্ত্রী ক্রিস্টোফার মিলার এবং চেয়ারম্যান জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ জেনারেল মার্ক মিলে।পরামর্শদাতারা তাকে বোঝান, এই হামলার পর সীমান্ত সংঘর্ষ শুরু হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রবল। ট্রাম্প তারপরও বিকল্প কিছু একটা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাকে সম্ভাব্য সব পরিস্থিতি বোঝানো পর আর এগোননি। হোয়াইট হাউস অবশ্য এ নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি।ট্রাম্পের নির্দেশে মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত হন ইরানের জেনারেল কাশেম সোলাইমানি। সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সময়ে করা ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি থেকেও বেরিয়ে এসেছেন তিনি। দেশটির ওপর কয়েক দফা অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এমনকি ইরানের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।