ঢাকা: কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কার মধ্যেও বিপর্যয় কাটিয়ে উঠছে দেশের পর্যটনখাত। চলতি শীত মৌসুমের শুরুতেই লোকে লোকারণ্য বিভিন্ন পর্যটন স্পট। বিশেষ করে শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে পর্যটকদের ঢল নেমেছিল। বিভিন্ন স্পটে পর্যটকদের আনাগোনা বাড়ায় বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে শুরু করেছেন এ খাতের উদ্যোক্তারা। পর্যটন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার, সাগরকন্যা কুয়াকাটা, রাঙামাটি, বান্দরবান, সিলেট, মৌলভীবাজার ও শ্রীমঙ্গলের হোটেল-মোটেলগুলো আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত বুকিং। এই সময়ে নতুন কোনো বুকিংও নিচ্ছে না অনেক হোটেল। একই অবস্থা বিভিন্ন গন্তব্যে চলাচলকারী এয়ারলাইন্সের ক্ষেত্রেও। অনেক আগে বুকিং না দিলে আসন পাওয়া যাচ্ছে না। সবমিলিয়ে পর্যটনখাত ফের ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, পর্যটনশিল্পে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ৪০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান রয়েছে। মোট দেশজ উৎপাদন জিডিপিতে প্রবৃদ্ধি ৪ দশমিক ৪ শতাংশ অবদান রাখছে পর্যটনশিল্প। করোনা মহামারিতে সবচেয়ে বড় ক্ষতি হয়েছে এ খাতের। কিন্তু এরই মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশ পর্যটনখাত ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এর বড় অংশই অভ্যন্তরীণ পর্যটক। তবে বিদেশি পর্যটকদের সংখ্যা এখনো তেমন বাড়েনি। বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডও কোভিড-১৯ সংক্রান্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যটকদের ভ্রমণ করতে উৎসাহিত করছে। কোভিড-১৯ পরবর্তী ভ্রমণবিধিও তৈরি করেছে সংস্থাটি। এ ব্যাপারে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মহিবুল হক বলেন, করোনাকালে পর্যটন ব্যবসা সচল রাখতে একটি নীতিমালা করা হয়েছে। পর্যটনখাত যাতে ঘুরে দাঁড়ায়, সেজন্য সরকার নানা উদ্যোগ নিয়েছে। এতে পর্যটক বাড়ছে। ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টোয়াব) প্রেসিডেন্ট মো. রাফেউজ্জামান বলেন, অভ্যন্তরীণ পর্যটনশিল্প চাঙা হতে শুরু করায় উদ্যোক্তাদের মধ্যে প্রাণের সঞ্চার ঘটেছে। এতে কোভিড-১৯ বিপর্যয় কাটিয়ে পর্যটনখাত লাভবান হচ্ছে।
কক্সবাজার হোটেল, মোটেল, গেস্ট হাউস, অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক করিম উল্লাহ কলিম বাংলানিউজকে বলেন, এখন কোথাও রুম খালি নেই। সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে পর্যটনখাতের অবস্থা রমরমা। পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড় রয়েছে কক্সবাজারে।