সিলেটের বিশ্বনাথে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে পুুলিশের দেয়া মামলায় আসামি করা হয়েছে এক ছাত্রলীগ কর্মীকে। তার নাম রফিকুল বারী রুপু মিয়া। তিনি উপজেলার দশঘর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। গত ২৯ অক্টোবর দশঘর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনকে ঘিরে সহিংসতার ঘটনায় থানার সেকেন্ড অফিসার নূর হোসেন বাদী হয়ে মামলা (নাম্বার-২০) করেন।
নির্বাচনে পুলিশের কাজে বাধা, হামলা ও গাড়ি ভাংচুরের ওই মামলায় নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান এমাদ উদ্দিন খানসহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ১৫৫ জন নেতাকর্মীর সাথে ২৮ নাম্বার আসামি করা হয় ছাত্রলীগ কর্মী রুপুকেও।
ছাত্রলীগ কর্মী রুপু মিয়া ‘বাংলাদেশ প্রতিদিন’কে জানান, আমি ছাত্রলীগ কর্মী। ঘটনার দিন নিজ ভোট কেন্দ্র রায়কেলি স্কুলে আমি এজেন্ট ছিলাম। রাত ৯টায় আমরা কেন্দ্রে থেকে বের হই। মাছুখালী বাজার কেন্দ্রের ওই ঘটনার সাথে আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। অনৈতিক সুবিধার পেতে ছাত্রলীগ করা সত্বেও আমাকে আসামি করেছে। বিএনপি নেতাদের সাথে কারা, কীভাবে আমাকে আসামি করলো? এটি খতিয়ে দেখা দরকার।
এ বিষয়ে কথা হলে বিশ্বনাথ পুলিশ স্টেশনের অফিসার ইন-চার্জ শামীম মূসা বলেন, ভিডিও ও স্থিরচিত্র চিত্র দেখে আসামি শনাক্ত করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকলে অপরাধী যেই হোক আইনের আওতায় আনা হবে। ভুলক্রমে কেউ আসামি হয়ে থাকলে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, ১৭ বছর পর গত ২৯ অক্টোবর দশঘর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জবেদুর রহমানকে পরাজিত করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন বিএনপি প্রার্থী এমাদ উদ্দিন খান। ১০টি কেন্দ্রের মধ্যে ৯টি কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হলেও ফলাফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে মাছুখালি নোয়াগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দশঘর নিজামুল উলুম উচ্চ বিদ্যালয় যৌথ ভোটকেন্দ্রে বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা ব্যালট বাক্স ও অন্যান্য সরঞ্জাম নিয়ে কেন্দ্র ত্যাগ করতে চাইলে তাদেরকে অবরুদ্ধ করে রাখেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। ভাঙচুর করা হয় নির্বাচনী কাজে ব্যবহৃত পিকআপ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে পুলিশ।