যৌন বাহিত রোগ এইচআইভি ভাইরাস প্রকোপ দিন দিন বৃদ্ধি পেলেও চিকিৎসা বঞ্চিত হচ্ছেন বেশিরভাগ রোগী। সচেতনতার অভাব এবং তৃনমূল পর্যাায়ে চিকিৎসা সুবিধা না থাকায় এই সংকট বেড়েই চলছে। এ অবস্থার উত্তরণ ঘটাতে তৃণমূল পর্যায়ের স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রে এইচআইভি রোগীর প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা রাখা এবং পরীক্ষার সহজলভ্যতা ও যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে আক্রান্ত ব্যক্তির পরিচয় গোপন রাখার নিশ্চয়তা দিতে হবে।
আজ বুধবার বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ঘাতক জীবাণু এইচআইভি চিহ্নিতকরণ এবং প্রতিরোধ বিষয়ক দিনব্যাপী এক কর্মশালায় বক্তারা এই অভিমত দেন। সূচনা বক্তব্য দিয়ে দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধন করেন হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন। সমাপনী বক্তব্য দেন মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. এসএম সরোয়ার। কর্মশালার মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ডা. চন্দন কুমার রায়।
শেবাচিমের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, বিভাগের ৫ জেলার সিভিল সার্জন এবং সিনিয়র চিকিৎসকরা কর্মশালায় অংশগ্রহন করে তাদের মতামত দেন। কর্মশালায় বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য প্রফেসর ডা. সরফুদ্দিন আহমেদ, শেবাচিম হাসপাতালের সাবেক পরিচালক ডা. কামরুল ইসলাম সেলিম এবং ইউএনএফপিএ’র প্রকল্পের টেকনিক্যাল কর্মকর্তা ডা. নূর রাহাত আরাসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।
কর্মশালায় জানানো হয়, ২০১৯ সালে দেশে ৭ হাজার ৩৭৪ জন এইচআইভি রোগী শনাক্ত হয়। তার মধ্যে ৯১৯ জনের মৃত্যু হয়। যৌনবাহিত বিভিন্ন রোগের প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে চিকিৎসা সেবা ব্যবস্থাপনা শক্তিশালীকরণ এবং সহায়ক চিকিৎসা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন বক্তারা।
কর্মশালার আয়োজক উন্নয়ন সংস্থা গ্লোবাল অ্যাফেয়ার কানাডা ও লাইট হাউজ কর্মকর্তারা জানান, ইউএনএফপিএ’র আর্থিক সহায়তায় তারা যৌনবাহিত রোগে আক্রান্তদের চিকিৎসা সেবা প্রদানে সরকারের উদ্যোগ বাস্তবায়নে দেশের ৩০ জেলায় সহায়ক হিসাবে কাজ করছেন। এই ধারাবাহিকতায় বরিশালে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।