গরু ভর্তি ট্রাক ছিনতাই করে ৬ বার গাড়ির নাম্বার প্লেট পরিবর্তন করেও রক্ষা হলো না ৫ ডাকাতের। নাটোর জেলা পুলিশের অভিযানে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অবশেষে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ। ট্রাক ড্রাইভার ও হেলপার ঘটনার সাথে জড়িত ছিল। ট্রাকভতি গরু ছিনতাইয়ের সাথে জড়িতরা দুর্ধর্ষ প্রকৃতির ছিলেন। ডাকাতিকালে ডাকাত দলের সদস্যরা নারায়ণগঞ্জ থেকে দিনাজপুর পর্যন্ত মোট ৬ বার গাড়ির নম্বর প্লেট পরিবর্তন করে। বুধবার সকাল ১১টার দিকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এমন তথ্য ধরেন পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা।
এ সময় লিটন কুমার সাহা জানান, চলতি বছরের ১৮ জুলাই নাটোরের বড়াইগ্রামে ১৬টি গরু ভর্তি ট্রাক ছিনতাইয়ের পর বিষয়টি আমলে নিয়ে পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহার নির্দেশে বড়াইগ্রাম থানা পুলিশ গরু ভর্তি ট্রাক উদ্ধার ও ডাকাত সদস্যদের গ্রেফতারে অভিযানে নামে বড়াইগ্রাম থানা পুলিশ।
পরে ঘটনাস্থলের আশপাশসহ পাবনা, কুষ্টিয়া, সিরাজগঞ্জ, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়। অভিযানকালে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে নাটোরের বড়াইগ্রাম থেকে ডাকাত দলের সদস্য ফরহাদ হোসেন এবং বিল্লাল হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ২৯ জুলাই রাতে উভয়কেই নিজ এলাকা নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম ও নাটোর সদর থেকে গ্রেফতার করা হয়।
পরে তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ও দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এক নম্বর আসামি ফজলে রাব্বীকে তার নিজ এলাকা নাটোরের বড়াইগ্রামের কায়েমকোলা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্য ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে কুমিল্লার দাউদকান্দি তালতলীর চান মিয়ার ছেলে আ. আউয়াল, ঢাকার নবাবগঞ্জের পাড়াগ্রামের ইয়াকুব মিয়ার ছেলে বাবুল মিয়াকে গত ৩ নভেম্বর রাতে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন চিটাগং রোড ডাচবাংলা ব্যাংকের সামনে থেকে গ্রেফতার করা করে পুলিশ। মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতার অভিযান অব্যবাহত রেখেছে পুলিশ।