বেনাপোল কাস্টম হাউসের শুল্ক গুদামে বাজেয়াপ্ত নিলাম অযোগ্য প্রায় ৫০ মেট্রিক টন পণ্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আদেশে পুড়িয়ে ধ্বংস করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। বিভিন্ন সময়ে জব্দকৃত পণ্যগুলো দীর্ঘদিন বেনাপোল কাস্টম হাউসের গোডাউনে থাকায় সেগুলো ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়ে।
সোমবার ও মঙ্গলবার বেনাপোলের খড়িডাঙ্গা ইট ভাটা ও বেনাপোল পৌরসভার আমড়াখালি নামক পৃথক ২টি স্থানের ফাঁকা মাঠে এসব পণ্য পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।
ধ্বংস করা পণ্যগুলো মধ্যে ৬ মেট্রিক টন বিভিন্ন প্রকার আতসবাজি, মাদক দ্রব্য, সিগারেট, ওষুধ, প্রসাধনী সামগ্রীসহ বিভিন্ন প্রকার আমদানি নিষিদ্ধ পণ্য রয়েছে।
সম্প্রতি লেবাননের বৈরুতে বিস্ফোরক দুর্ঘটনার পর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্দেশনা মোতাবেক এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয় বলে কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে।
ধ্বংসযোগ্য পণ্য বিনষ্টকরণ কমিটির আহ্বায়ক বেনাপোল কাস্টমসের অতিরিক্ত কাস্টমস কমিশনার ড. মো. নেয়ামুল ইসলামের নেতৃত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন কমিটির সদস্য সচিব কাস্টমসের উপ-কমিশনার বিল্লাল হোসেন, সদস্য শার্শা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাসনা শারমিন মিথি, নাভারন সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ জুয়েল ইমরান।
আরও উপস্থিত ছিলেন বেনাপোল স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) আতিকুল ইসলাম, পৌর সভার সহকারী প্রকৌশলী আবু সাঈদ খান, ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ তৌহিদুর রহমান, যশোর পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক শরিফুল ইসলাম, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক বিশ্বাস মফিজুল ইসলাম, বেনাপোল বিজিবির হাবিলদার সাহেব আলীসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা।
বেনাপোল কাস্টম হাউজের উপ-কমিশনার এস এম শামীমুর রহমান জানান, বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার মো. আজিজুর রহমানের নির্দেশনায় পণ্য ধ্বংসের জন্য গঠত কমিটির সদস্যদের তত্ত্বাবধানে ১০টি ট্রাকে প্রায় ৫০ মেট্রিক টন মালামাল ধ্বংস করা হয়েছে। সর্বশেষ বেনাপোল কাস্টমস হাউজে পণ্য ধ্বংস করা হয়েছিল ২০১৩ সালে।