শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, আগামী বছর পরিস্থিতি বুঝে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আমরা এখনই বলতে পারছি না পরীক্ষা পেছাবে কিনা। সেটি সময় হলেই আমরা সিদ্ধান্ত নেব। ডা. দীপু মনি বলেন, পরীক্ষা পেছানোর কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। সে ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হলে হয়তো নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষা না নিয়ে তা কিছুটা পিছিয়ে আয়োজন করা হবে। তার আগে আমরা সীমিত আকারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়টিকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। আগামী বছর এসএসসি পরীক্ষায় যারা অংশ নেবে তাদের জন্য কোনো বিশেষ ক্লাস নেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, গত মার্চ মাস থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এ জন্য সংসদ টেলিভিশন ও অনলাইন মাধ্যমে ক্লাস করানো হলেও স্বশরীরে ক্লাস করানো সম্ভব না হওয়ায় কেউ কেউ পিছিয়ে আছে। তাদের কথা চিন্তা করে সীমিত আকারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে আগামী বছরের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের সিলেবাস শেষ করা হবে। এরপর একটি মূল্যায়ন পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে। এরপর যারা পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত মনে করবে তারা পরীক্ষায় অংশ নেবে। এছাড়া বিশেষ ক্লাস নেয়ারও চিন্তা-ভাবনা রয়েছে। তবে সেটা নির্ভর করছে করোনা পরিস্থিতির ওপর। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি চলছে। দফায় দফায় ছুটি বাড়িয়ে তা আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত করা হয়। এবার তা বাড়িয়ে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত করা হলো।