করোনা ভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন আদালত বন্ধ থাকার পরও মাত্র একবছর চার মাসের মাথায় নিষ্পত্তি হতে চলেছে বর্বরোচিত এ হত্যা মামলা। আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের রায় ঘিরে দেশের সব মহলের নজর আজ বরগুনার আদালতে। ইতোমধ্যেই আদালত প্রাঙ্গণ ও আশপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কঠোর নিরাপত্তা জোরদার করেছেন। নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে জেলাজুড়েও। বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহরম আলী বলেন, আলোচিত এ হত্যা মামলার রায় কেন্দ্র করে বরগুনায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক রয়েছে। গত ১৪ অক্টোবর এ মামলার দুই পক্ষের যুক্তিতর্কের শুনানি শেষে বরগুনার শিশু আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান রায়ের জন্য মঙ্গলবার দিন ধার্য করেন। গত বছরের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে রিফাত হত্যাকাণ্ড ঘটে। ওই বছরের ১ সেপ্টেম্বর ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে প্রাপ্ত ও অপ্রাপ্তবয়স্ক দু’ভাগে বিভক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দেয় পুলিশ। এরমধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ জন এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। গত ৮ জানুয়ারি রিফাত হত্যা মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন বরগুনার শিশু আদালত। এরপর ১৩ জানুয়ারি থেকে অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করেন। মোট ৭৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে এ মামলায়। এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর এ মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির রায় ঘোষণা করেন বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান। রায়ে নিহত রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ছয়জনের ফাঁসির আদেশ দেন। আর বাকি চারজনকে বেকসুর খালাস দেন।