করানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি
ঢাকার কেরানীগঞ্জে রাজস্ব সার্কেল দক্ষিণ সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিস নতুন ভবনে স্থানান্তরিত হওয়ায় সেবা প্রার্থীরা অনেক স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। এতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সেবা প্রার্থীরা তাদের প্রত্যাশিত ভূমি সেবা পাবেন।
কেরানীগঞ্জ রাজস্ব সার্কেল দক্ষিণ ভূমি অফিস সূত্রে জানা যায়, তাদের পুরাতন অফিসটি ছিল খুব ছোট এবং জরাজীর্ণ। এতে অফিসের প্রয়োজনীয় কাগজ ও নথিপত্র রাখতে অনেক অসুবিধা হতো। সামান্য বৃষ্টি হলেই অফিসের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও নথিপত্র ভিজে নষ্ট হয়ে যেত। অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বসার তেমন কোন সুব্যবস্থা ছিল না। এ ছাড়া অফিসে সেবা নিতে আসা মানুষজনকে অফিসে ঠাসাঠাসি করে প্রবেশ করতে তাদের অনেক ভোগান্তিতে পড়তে হতো। সেবা প্রার্থীদের অফিসে বসার জায়গা দেয়ার মতো কোন ব্যবস্থাও ছিল না। এ অবস্থায় করোনাকালীন সময়ে অফিসে কোন প্রকার স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা সম্ভব হয়নি। করোনাকালীন সময়ে অফিসে মানুষের ভীড়ে সেবা প্রার্থীদের সেবা দিতে গিয়ে কেরানীগঞ্জ রাজস্ব সার্কেল দক্ষিন সহকারী কমিশনার (ভূমি) সানজিদা পারভিন তিন্নী, অফিস সহকারী মো. সোহেলসহ কয়েকজন করোনায় আক্রান্ত হন। পরে ঢাকা জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম, কেরানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ ও কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত দেব নাথের অনুমতিক্রমে উপজেলা চত্বরে অন্য একটি খালি ভবনে অফিসটি স্থানান্তর করা হয়। এই ভবনে পূর্বে উপজেলা মহিলা বিষয়ক অফিস, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস, উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিস ও তথ্যা আপার অফিস ছিল। তারা প্রত্যেকেই অন্য একটি ভবনে তাদের অফিস স্থানান্তর করলে ঐ ভবনটি খালি হয়। পরে উপজেলা প্রকৌশলীর তত্ত্বাবধানে ভবনটির কিছু সংস্কার কাজ করে সেখানে কেরানীগঞ্জ রাজস্ব সার্কেল দক্ষিণ ভূমি অফিসটি স্থানান্তর করা হয়। এখন এই অফিস থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সেবা প্রার্থীদের তাদের প্রত্যাশিত সেবা যথা সময়ে প্রদান করতে সক্ষম হবেন কর্মকর্তাগণ।
জাজিরা এলাকার ভূমি সেবা প্রার্থী বাবুল কর্মকার জানান, নতুন ভবনে ভূমি অফিসটি স্থানান্তর হওয়ায় তাদের অনেক সুবিধা হয়েছে। আগে পুরাতন অফিসে জায়গা সংকুলান না হওয়ায় সেবা নিতে আসায় তাদের অনেক ভোগান্তির শিকার হতে হত।
কালিন্দী থেকে আসা সেবা প্রার্থী হাজী মো. ইকবাল হোসেন জানান, নতুন ভবনে ভূমি অফিসটি স্থানান্তরিত হওয়ায় করোনাকালীন সময়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমরা এখন সেবা নিতে পারব। আগে পুরাতন অফিসে মিসকেসের সময় রাস্তায় দাঁড়িয়ে রোদে পুড়ে ও বৃষ্টিতে ভিজে হাজিরা দিতে হতো। এখন নতুন অফিস প্রশস্ত হওয়া আমাদের এই সমস্যা দূর হয়েছে।
কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত দেব নাথ জানান, জনস¦ার্থে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে সাধারণ মানুষ যাতে ভূমি সেবা নিতে পারেন সেইলক্ষে পুরাতন অফিসটি নতুন ভবনে সাময়িকভাবে স্থানান্তর করা হয়েছে।