যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকার যৌথ উদ্যোগে তৈরি করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিনের ট্রায়ালে নাম লেখানো একজন স্বেচ্ছাসেবী মারা গেছেন। ব্রাজিলের জাতীয় স্বাস্থ্য নজরদারি সংস্থা (আনভিসা) বুধবার এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। তবে এটি এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি যে ওই স্বেচ্ছাসেবী ভ্যাকসিন নেওয়ার আগেই মারা গেছেন নাকি ভ্যাকসিন দেওয়ার পরে তার মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে স্বেচ্ছাসেবীর মৃত্যুর পরেও ব্রাজিলে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছে আনভিসা। ব্রাজিলে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের সমন্বয়ে সাহায্য করছে দ্য ফেডারেল ইউনিভার্সিটি অব সাও পাওলো। বিশ্ববিদ্যালয়টির পক্ষ থেকেও ব্রাজিলিয়ান স্বেচ্ছাসেবী মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে ওই ব্যক্তি ব্রাজিলের কোথায় বাস করতেন সেই বিষয়ে কিছু বলা হয়নি।
তবে সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএন ব্রাজিলের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে মৃত স্বেচ্ছাসেবী ২৮ বছর বয়সী একজন যুবক এবং সে রিও ডে জেনিরোর বাসিন্দা ছিলেন। করোনায় আক্রান্ত হয়েই ওই যুবক মারা গেছেন।
জানা গেছে , চীনের সিনোভ্যাকের ভ্যাকসিনের পাশাপাশি ব্রিটেনের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির ভ্যাকসিনটিতেও অনুমোদন দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে ব্রাজিল সরকারের।
করোনায় সর্বোচ্চ মৃত্যুর বিশ্ব তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ব্রাজিল। দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১ লাখ ৫৪ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এ তালিকার শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া সর্বোচ্চ করোনা রোগী শনাক্তের বিশ্ব তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে ব্রাজিল। দেশটিতে এ পর্যন্ত ৫২ লাখের বেশি করোনা রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র এবং দ্বিতীয় ভারত।