কুমিল্লার বরুড়ার উপজেলার আদ্রা ইউনিয়নের উপ-নির্বাচন নিয়ে নানা অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভোট শুরুর আগে কাকৈরতলা কেন্দ্রে দুই প্রতীকের প্রার্থীদের সমর্থকদের মাঝে মঝে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী (আনারস প্রতীক) মাহফুজুর রহমান সেলিমের ১০ কর্মী আহত হয়েছে বলে তাদের দাবি।
এদিকে পেরপেটিতে আনারস প্রতীকের প্রার্থীর গাড়ি ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। আনারস প্রতীকের প্রার্থীর কর্মী মো. সজিব অভিযোগ করেন, সকাল সাড়ে ৭টায় কাকৈরতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের সামনে দেশীয় অস্ত্র ও লাঠি দিয়ে হামলা করে। এতে সুমন নামের একজন মেরে রক্তাক্ত করা হয়। আরও কয়েকজন আহত হয়েছে। আমাদের কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়েছে নৌকার তাফাজ্জল তপু। তারা বলেছে, বাঁচতে চাইলে কেন্দ্র থেকে বের হয়ে যা।
কাকৈরতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, স্কুলের সীমানার মধ্যে কোন ঝামেলা হয়নি। নৌকা ছাড়া অন্য প্রতীকের এজেন্ট কেন্দ্রে আসেনি।
এ কেন্দ্রের পুলিশ কর্মকর্তা এসআই নাছের জানান, ভোট শুরুর আগে বাইরে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার খবর শুনেছি। তবে ভিতরে কোন সমস্যা হয়নি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করছে।
বিএনপির প্রার্থী মো. পারভেজ হোসেন বলেন, নৌকার লোকেরা ৯টি কেন্দ্রের মধ্যে নলুয়া, পেরপেটি, আদ্রা, পেরপেটি, নরীন্দ্রপুরসহ ৬টি কেন্দ্র দখল করেছে। বহিরাগত লোক দিয়ে আমার কর্মী মনিরকে আহত করেছে, সে হাসপাতাল ভর্তি। আমি ভোট বর্জন করলাম। এ নির্বাচন আবার হোক। আমি লিখিত অভিযোগ দাখিল করবো।
নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আ. করিম বলেন, সব কেন্দ্রে ঠিকঠাক ভোট হচ্ছে। কোথাও কোন সমস্যা এখনও শুনিনি। আমি জয়ের আশাবাদী।
বরুড়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আজহারুল ইসলাম জানান, নির্বাচন সুষ্ঠু হচ্ছে। আমার নিকট কোনো অভিযোগ আসেনি।