সালমান শাহ আত্মহত্যা করেছেন মর্মে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রতিবেদনের গ্রহণযোগ্যতার বিষয়ে শুনানি হবে আগামী ১০ ডিসেম্বর।
আজ রবিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোর্শেদ আল মামুন ভূঁইয়ার আদালতে মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদনের গ্রহণযোগ্যতার বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন চূড়ান্ত প্রতিবেদনের ওপর মামলার বাদী সালমান শাহের মা নারাজি দেবেন বলে সময়ের আবেদন করেন বাদীপক্ষের আইনজীবী ফারুক আহাম্মদ।
শুনানি শেষে আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে প্রতিবেদনের ওপর গ্রহণযোগ্যতার বিষয়ে শুনানির জন্য নতুন এ দিন ঠিক করেন।
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর চিত্রনায়ক চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরিয়ার (ইমন) ওরফে সালমান শাহ রহস্যজনকভাবে মারা যান। সেসময় অপমৃত্যুর মামলা করেছিলেন তার বাবা কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী। ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে এমন অভিযোগে ১৯৯৭ সালের ২৪ জুলাই অভিযোগটিকে হত্যা মামলায় রূপান্তর করার আবেদন জানান তিনি। একাধিক সংস্থা এটি আত্মহত্যা হিসেবে প্রতিবেদন দিলেও সালমান শাহের বাবার মৃত্যুর পর মা তাতে নারাজি দিয়েছেন।
রবিবারের শুনানিতে আইনজীবী ফারুক আহাম্মদ বলেন, ‘সালমান শাহ’র মৃত্যুর ঘটনায় আমাদের কাছে যেসব সাক্ষ্যপ্রমাণ ছিল সব আদালতের মাধ্যমে আমরা পিবিআইকে সরবরাহ করেছি। এরপরও তদন্তে সেসব সাক্ষ্যপ্রমাণের প্রতিফলন ঘটেনি। মামলার বাদী সালমান শাহের মায়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমরা এ প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে আদালতে নারাজি আবেদন দেব।’
‘মামলার বাদী সালমান শাহের মা লন্ডনে অবস্থান করছেন। করোনাভাইরাসের প্রার্দুভাবের কারণে তিনি দেশে আসতে পারছেন না। তাই নারাজি দেওয়ার জন্য সময় প্রার্থনা করছি।’
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি আদালতে ৬০০ পৃষ্ঠার চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় পিবিআই। প্রতিবেদনটি ২৭ ফেব্রুয়ারি আদালতে উপস্থাপন করা হলে ঢাকার মেট্রোলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বাকী বিল্লাহ তাতে দেখিলাম লিখে স্বাক্ষর করেন। একইসঙ্গে প্রতিবেদনের গ্রহণযোগ্যতার বিষয়ে মামলার পরবর্তী তারিখ ৩০ মার্চ শুনানির দিন ধার্য করেন। এরপর করোনা প্রাদুর্ভাবে আদালত বন্ধ থাকায় এ বিষয়ে আর শুনানি হয়নি।