ঢাকা: তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম. আল্লামা সিদ্দীকী তুরস্কের স্পিকার মুস্তাফা সেনটপের সাথে এক বিদায়ী সাক্ষাৎ করেছেন। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে দুই দেশের ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক যোগসূত্রের পাশাপাশি বিদ্যমান চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিভিন্ন খুঁটিনাটি বিষয় উঠে আসে।
স্পিকার বাংলাদেশ-তুরস্ক সম্পর্ক উন্নয়নে রাষ্ট্রদূত এম আল্লামা সিদ্দীকীর গতিশীল কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করেন। সম্প্রতি তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় নির্মিত বাংলাদেশের দূতাবাস দুই দেশের সম্পর্কের জন্য একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
বৃহস্পতিবার (অক্টোবর ৮) আঙ্কারার বাংলাদেশ দূতাবাস পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
স্পিকার বলেন, তুরস্কের স্বাধীনতা সংগ্রামে বাংলাদেশের মানুষের অকৃত্রিম সহযোগিতার কথা তুরস্কের জনগণ কখনো ভুলবে না।
জবাবে রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলার মানুষের সাথে তুরস্কের জনগোষ্ঠীর সম্পর্ক শত শত বছরের পুরোনো এবং দিনদিন এই সম্পর্ক আরো শক্তিশালী হচ্ছে। তিনি বাংলাদেশের ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ এবং দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে চলমান উন্নয়ন কার্যক্রমের বিষয়ে স্পিকারকে অবহিত করেন। বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যকার সাম্প্রতিক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কোন্নয়নের বিষয়ে আলোচনা করেন।
তুরস্কের স্পিকার বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে উন্নয়ন প্রক্রিয়ার প্রশংসা করে বলেন, বর্তমান বিশ্বে বাংলাদেশ একটি উদীয়মান অর্থনৈতিক শক্তি। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, উভয় দেশের মধ্যকার চলমান দ্বিপাক্ষিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরো বেগবান হবে। রাষ্ট্রদূত এই বিষয়ে দুই দেশের বেসরকারি খাতের সহযোগিতার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগে তুরস্কের ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখ করে তিনি ইলেকট্রনিক্স, প্রকৌশল, অবকাঠামো নির্মাণ এবং প্রতিরক্ষা খাতে বিদ্যমান সহযোগিতা বিষয়ে বিস্তারিত উল্লেখ করেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, আগামী দিনগুলোতে শিক্ষা, সংস্কৃতি এবং প্রযুক্তি স্থানান্তরের ক্ষেত্রে দুই দেশ আরো ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে।
বাংলাদেশ এ বছর থেকে নিয়মিতভাবে তুরস্কের বৃহত্তম বাণিজ্য মেলা মুসিয়াদ মেলাতে অংশ নেবে।
স্পিকার মুস্তাফা সেনটপ দুই দেশের সংসদের মধ্যে সর্ম্পক বৃদ্ধির ওপর জোর দেন এবং বাংলাদেশের স্পিকারকে তুরস্ক সফরের আমন্ত্রণ জানান। রাষ্ট্রদূত সিদ্দীকী উল্লেখ করেন যে, বাংলাদেশের পক্ষ থেকেও প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ-তুরস্ক সংসদীয় মৈত্রী সমিতির চ্যাপ্টার গঠন করা হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, তুরস্কের স্পিকার অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশ সফর করবেন।