ঢাকা: ফরিদপুরের নগরকান্দা তালমা ইউনিয়নের চর মানিকদী পাগলপাড়া গ্রামের স্কুলছাত্র অন্তর হত্যা মামলায় দুই আসামিকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। তারা হলেন—আজিজুল শেখ ও আশরাফ শেখ।
বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার (০৮ অক্টোবর) এই আদেশ দেন।
এদিকে ‘অল্প সময়ে’ আসামিদের জবানবন্দি গ্রহণ করার বিষয়ে হাইকোর্টে হাজির হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন ফরিদপুরের তৎকালীন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (বর্তমানে মেট্রোপলিটন ম্যাজিসেট্রট, ঢাকা) মো. মাইনুল ইসলাম। পরে আদালত তাকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দিয়ে ১৯ নভেম্বর শুনানির জন্য পরবর্তী দিন রেখেছেন।
আদালতে আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ও অ্যাডভোকেট নুসরাত ইয়াসমিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন। ম্যাজিস্ট্রেটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ এস এম সাজ্জাদ হায়দার।
ওই মামলায় দুই আসামির জামিনের বিষয়ে আপিলের ওপর গ্রহণযোগ্যতার শুনানিতে ১৬ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট ম্যাজিস্ট্রেটকে তলব করেছিলেন। সে অনুসারে বুধবার তিনি হাইকোর্টে হাজির হন।
পরে রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, এ মামলায় তিন আসামিকে একই ম্যাজিস্ট্রেট অল্প সময়ের ব্যবধানে তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেছেন। জবানবন্দি গ্রহণে এখানে আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ হয়নি। আদালত ১৯ নভেম্বর পরবর্তী তারিখ রেখেছেন। আশরাফ শেখ ও আজিজুল হককে জামিন দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ম্যাজিস্ট্রেট নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন। সেখানে তিনি বলেছেন ভুল হয়েছে। আর স্বশরীরে হাজির হওয়া থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন।
২০১৮ সালের ৭ জুন রাতে অপহরণের পর গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে অন্তরকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় করা মামলার আসামি আজিজুল শেখ ও আশরাফ শেখের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন নিম্ন আদালত। পরে তারা জামিন চেয়ে উচ্চ আদালতে আপিল করেন।
১৬ সেপ্টেম্বর আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, ২০১৮ সালের ২৮ জুন নগরকান্দার একটি মামলায় একজন ম্যাজিস্ট্রেট তিনজনের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি অর্থাৎ তাদের দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি তিনি রেকর্ড করেছেন। একটা বিকাল ৫টায়, একটা ৬টা ৪৫ এবং অপরটি ৭টা ৪০ মিনিটে নেন। আইনের মধ্যে বলা আছে কোনো ব্যক্তির ১৬৪ ধারার জবানবন্দির জন্য কমপক্ষে তাকে তিন ঘণ্টা সময় দিতে হবে। একজন ম্যাজিস্ট্রেটের পক্ষে এত অল্প সময়ের মধ্যে ৭ পৃষ্ঠার জবানবন্দি লেখা সম্ভব না। তিন ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়নি। যিনি জবানবন্দি দিয়েছেন তার ভাষায় লেখা হয়নি। জবানবন্দিগুলো প্রায় একই রকম।