আইনি নোটিশ এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে সরকারি সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা চেয়ে

আইনি নোটিশ এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে সরকারি সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা চেয়ে

ঢাকা: জেএসসি ও এসএসসির ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল প্রস্তুতের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা চেয়ে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) সাভারের মোফাজ্জল-মোমেনা চাকলাদার মহিলা কলেজের শতাব্দী রায় নামে এক এইচএসসি পরীক্ষার্থীর পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান রেজিস্ট্রি ডাক যোগে এ নোটিশ পাঠান।

নোটিশে বলা হয়েছে, গত ৭ অক্টোবর মন্ত্রণালয়ের প্রেস ব্রিফিংয়ে ২০২০ সালের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা না নিয়ে জেএসসি ও এসএসসির ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল প্রস্তুতের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়েছে। জেএসসি ও এসএসসির ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল প্রস্তত করলে নোটিশদাতাসহ আরও অনেক শিক্ষার্থী উচ্চ মাধ্যমিকে ভালো ফলাফল করা থেকে বঞ্চিত হবেন। তাই করোনার কারণে এইচএসসি পরীক্ষা না নেওয়া গেলে নিজ নিজ কলেজের নির্বাচনী (টেস্ট) পরীক্ষার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে মূল্যায়ন চাওয়া হয়েছে।

নোটিশে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিভাগের সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং ৯টি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানকে বিবাদী করা হয়েছে।

নোটিশে এ শিক্ষার্থী বলেছে, জেএসসিতে জিপিএ-৫ পেলেও এসএসসি চলাকালীন অসুস্থতার কারণে পূর্ণ প্রস্তুতি না নিতে পারায় তিনি জিপিএ ৪.২২ প্রাপ্ত হন। জেএসসি ও এসএসসির ফলাফলের গড় প্রস্তুত করলে তার প্রত্যাশা অনুযায়ী জিপিএ-৫ আসবে না। এতে তিনি ভবিষ্যতের হতাশায় রয়েছেন। উক্ত শিক্ষার্থী উচ্চ মাধ্যমিকের জন্য নিজেকে সম্পূর্ণ প্রস্তুত করায় কলেজের প্রি-টেস্ট এবং টেস্ট উভয় পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছেন। এমতবস্থায় জেএসসি ও এসএসসির ফলাফলের গড় করলে তার ভালো ফলাফল করার ইচ্ছা ও প্রচেষ্টা উভয়ই বাধাগ্রস্ত হবে এবং তাকে তা সারাজীবন বয়ে বেড়াতে হবে।

নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, জেএসসি ও এসএসসির ফলাফলের গড় করার কারণে একদিকে যেমন অনিয়মিত, একাধিক বিষয়ে অকৃতকার্য, প্রস্তুতিহীন শিক্ষার্থীর জন্য সুযোগ তৈরি হবে, তেমনিভাবে কোনো কারণে জেএসসি কিংবা এসএসসিতে কম জিপিএ পাওয়া মেধাবী, পরিশ্রমী শিক্ষার্থীরা তাদের প্রচেষ্টা প্রমাণে ব্যর্থ হবে। আগের ফলাফলের গড় করে পরবর্তী পরীক্ষার ফলাফল নির্ধারণ একধরনের জোরপূর্বক ও বেআইনি আরোপ বলে নোটিশে বলা হয়েছে, যা দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষ আইনত করতে পারেন না।

তাই করোনার কারণে যদি পরীক্ষা একেবারেই গ্রহণ না করা যায়, সে ক্ষেত্রে স্ব স্ব কলেজে অনুষ্ঠিত টেস্ট পরীক্ষার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল প্রস্তুতের দাবি জানানো হয় নোটিশে। টেস্ট পরীক্ষা যেহেতু করোনা সংক্রমণের আগেই গ্রহণ করা হয়েছে এবং নিয়ম অনুযায়ী কলেজ থেকে তা অধিদপ্তরে জমা করা হয়, সেহেতু একজন শিক্ষার্থীর পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সত্যিকারের প্রস্তুতির বিষয়ে বোঝা যাবে টেস্ট পরীক্ষার ফলাফলে এবং সে অনুযায়ী ফলাফল প্রস্তুত করলে তা হবে যৌক্তিক ও ন্যায়সঙ্গত।

এমতাবস্থায় নোটিশ পাওয়ার তিনদিনের মধ্যে উল্লেখিত দাবি মানা না হলে শিক্ষার মৌলিক অধিকার আদায়ে হাইকোর্ট বিভাগে রিট দায়ের করা হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।

 

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::

More News...

দুর্ঘটনার আশঙ্কায় জনমনে উদ্বগে বীরগঞ্জের সড়কগুলো দাপিয়ে বড়োচ্ছে কিশোর চালকরা

সন্দ্বীপে কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনা উদ্বোধন