ইবি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী উলফাত আরা তিন্নির রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় প্রধান আসামি জামিরুলকে গ্রেফতার করেছে ঝিনাইদহ জেলা পুলিশ।
বুধবার (৭ অক্টোবর) ভোরে ফরিদপুর শহর থেকে জামিরুলকে গ্রেফতার করা হয়।
ঘটনার পরের দিন থেকে পলাতক ছিলেন জামিরুল।
এর আগে গত সোমবার (৫ অক্টোবর) তিন্নির ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়া যায়। প্রতিবেদনে ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি বলে পুলিশ জানায়। তিন্নি আত্মহত্যা করেছেন এমনটাই প্রতিবেদন এসেছে।
এদিকে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন বিশ্বাস করতে পারছেন না তিন্নির স্বজনরা। পরিবারের দাবি, তিন্নি ধর্ষণের শিকার হয়ে লজ্জা ও ক্ষোভে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন।
গত বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) মধ্যরাতে তিন্নির বড় বোনের সাবেক স্বামী জামিরুল তিন্নির বাসায় দুই দফা হামলা চালায়। হামলার পর অভিযুক্তরা ঘর থেকে বের হওয়ার কিছুক্ষণ পর নিজ কক্ষ থেকে তিন্নির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পরিবার। এ ঘটনায় শুক্রবার (২ অক্টোবর) রাতে তিন্নীর মা হালিমা বেগমের দায়ের করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আট জন আসামির মধ্যে এ পর্যন্ত পাঁচ জন গ্রেফতার হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) তিন্নি হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা। এছাড়া ঘটনার পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে দুই দফা মানববন্ধন করেছে তিন্নির সহপাঠী ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা।