ঢাকা: করোনা পরিস্থিতি শেষে জাপানে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের ব্যাপক সুযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত জাপানী রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি। জাপান সরকারের বৃত্তি সুবিধার আওতায় সেখানে পড়াশোনার পাশাপাশি ক্যারিয়ার গড়ারও সুযোগ থাকবে।
মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) জাপানে পড়াশোনার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঢাকার জাপানী দূতাবাস এবং নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে এক ওয়েবিনারের আয়োজন করা হয়।
‘স্টাডি ইন জাপান সেমিনার ২০২০’ শিরোনামের এই ওয়েবিনারে জাপানী রাষ্ট্রদূত বলেন, আমি আশা করি আমরা সম্ভাবনাময়, যোগ্য, ছাত্রছাত্রীদের জাপানে পড়তে যাওয়ার সুযোগ দিতে পারবো এবং দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করবো। করোনা মহামারি শেষ হলে জাপানে তরুণদের জন্য অনেক সুযোগ ও সম্ভাবনা থাকবে। আমি সত্যি আশা করি, আপনারা সুযোগের সর্বোচ্চ সদব্যবহার করে ভবিষ্যতে সফল হবেন।
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সটারনাল এফেয়ার্স বিভাগের পরিচালক ড. ক্যাথেরিন লি বলেন, আমি নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, আপনারা যদি জাপানে ছাত্র হিসেবে যেতে চান, সেখানে লেখাপড়া করার, জাপানী ভাষা শেখার, এমনকি চাকরি পাওয়ার সুযোগ আছে। জাপান তাদের কর্মশক্তিতে যোগ্য কর্মচারী যুক্ত করতে আগ্রহী এবং সেখানে কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় ভাষা, সংস্কৃতি শিক্ষা, দক্ষতা অর্জনের জন্য প্রশিক্ষণ গ্রহণে সহযোগিতা করার বিষয়ে জাপান অনেক সদয়।
ওয়েবিনারে জাপান সরকারের বৃত্তি (Ministry of Education, Culture, Sports, Science and Technology, MEXT Scholarship) সহ জাপানে উচ্চশিক্ষা বিষয়ক নানান তথ্য এবং জাপানের পড়াশোনা ও জীবনযাত্রা এবং এর সুবিধা সম্পর্কিত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করা হয়। নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় দেড় হাজার ছাত্রছাত্রী এবং শিক্ষকবৃন্দ এই লাইভ সেমিনারে অংশগ্রহন করেন। জাপানে উচ্চশিক্ষা সমাপ্ত করে আসা নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন শিক্ষক বিদেশী ছাত্র হিসেবে তাদের জাপানে অধ্যয়ন অভিজ্ঞতা এবং দৈনন্দিন জীবন সম্পর্কে বলেন।
প্রসঙ্গত, বিগত প্রায় পাঁচ দশক ধরে মেক্সট বৃত্তির আওতায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দিয়ে আসছে জাপান। এর আওতায় এখন পর্যন্ত প্রায় চার হাজার ২০০ শিক্ষার্থী বৃত্তি নিয়ে দেশটিতে পড়াশোনা করেছেন।
দূতাবাস সূত্রে জানা যায়, শুধু ২০১৯ সালেই ১২০ জনের বেশি বাংলাদেশি শিক্ষার্থী জাপানের বৃত্তি পেয়েছেন। মধ্য এপ্রিলে (দূতাবাস সুপারিশকৃত) এবং অক্টোবরে (বিশ্ববিদ্যালয় সুপারিশকৃত) বছরে মোট দুইবার এই বৃত্তির জন্য আবেদন করা যায়।