সাভারে চাকরি দেওয়ার নাম করে দিনের পর দিন এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ইতালি ফেরত এক প্রবাসীর বিরুদ্ধে। এরপর থেকেই হুমকি আর ভয়-ভীতির মধ্যে রয়েছেন ওই নারী।
শেষমেষ ভুক্তভোগী ওই নারী ফোন করেন জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে। পরে তাকে সাভার মডেল থানার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করিয়ে দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত ইতালি ফেরত প্রবাসী সাদিকুর রহমান সেলিমকে সোমবার গ্রেফতার করে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী ওই নারী জানান, তার স্বামী পেশায় একজন কাঠমিস্ত্রি। ফরিদপুরের মধুখালী থানায় একটি গ্রাম থেকে সাভারে আসার পরই মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে থমকে যায় তাদের জীবন। স্বামীর আয় না থাকায় নিজেই কাজের সন্ধানে বের হলে এক ব্যক্তির মাধ্যমে পরিচয় হয় সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ডের ইতালি ফেরত প্রবাসী সাদিকুর রহমান সেলিমের সঙ্গে।
চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ওই নারীকে দিনের পর দিন তার বহুতল ভবনের সাত তলায় নিয়ে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ এই নারীর।
ভুক্তভোগী নারী জানান, প্রতিবাদ করার পর থেকে তিনি প্রভাবশালীদের ভয়-ভীতি ও হুমকির মুখে এলাকা ছেড়ে চলে যান আশুলিয়ায়। এর মধ্যে নানাভাবে ওই নারীকে উত্তপ্ত এবং নাজেহাল করায় শেষমেষ তিনি জাতীয় জরুরি সেবা ট্রিপল নাইনের শরণাপন্ন হন। সেখান থেকে তাকে সাভার মডেল থানায় যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
তিনি জানান, চাকুরি দেওয়ার কথা বলে আমাকে সাভারে ডিবি অফিসের সামনে সাদিকুর রহমান সেলিম তার মালিকানাধীন বহুতল ভবনের সাত তলায় নিয়ে যায়। ওখানেই চাকরির বিষয়ে আলাপ আলোচনা হবে জানিয়ে আমাকে ধর্ষণ করেন। এ বিষয়ে প্রতিবাদ করার পর থেকেই আমাকে নানাভাবে নাজেহাল করতে থাকেন তিনি।
পুলিশ জানান, প্রাথমিক তদন্তে ওই নারীর সাথে প্রবাসীর যোগাযোগ ও সম্পর্ক স্থাপনের নানা আলামত পাওয়া গেছে। এমনকি তিনি ওই নারীকে সঙ্গে করে ইসলামি ব্যাংক সাভার শাখায় নিয়ে গেছেন। সেখানে তার নামে একটি হিসাব খুলে সেই নারীর হিসাবে নগদ সাড়ে চার লাখ টাকা জমা করে আবার উত্তোলন করেও নিয়ে গেছেন। এর মাধ্যমে ওই নারীর সাথে অভিযুক্তের যোগাযোগের আলামত নিশ্চিত হওয়া গেছে।
যোগাযোগ করা হলে প্রবাসী সাদিকুর রহমান সেলিম এ বিষয়ে কোনো সংবাদ পরিবেশন না করার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, আমরা বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করছি।
সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ওই নারী লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে।