ঢাকা: গত ১০ বছরে বাপেক্স এক হাজার ৩০০ এমএমসি গ্যাস অনুসন্ধান করে বের করেছে বলে উল্লেখ করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
শনিবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে ‘এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট চ্যালেঞ্জ ফর বাপেক্স’ শীর্ষক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
নসরুল হামিদ বলেন, বর্তমানে বাপেক্স যে অবস্থায় আছে, সেই অবস্থাতেই তারা গত ১০ বছরে প্রায় এক হাজার ৩০০ এমএমসি গ্যাস অনুসন্ধান করে বের করেছে। এটা বাপেক্সের জন্য বড় একটা বিষয়। বাপেক্স কী পরিমাণ ড্রিলিং করে কত পরিমাণ গ্যাস পেয়েছে সেটাও আপনারা দেখেছেন। গত ৪০ বছরের ইতিহাসে এমনটা হয়নি।
বাপেক্সের কর্মকর্তাদের সমালোচলা করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমি এ মন্ত্রণালয়ে যোগ দেওয়ার পর বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের দেখলাম, তারা যখন বাপেক্সে থাকেন তখন কোনো শব্দ করেন না। বাপেক্স থেকে বের হলেই তারা বাঘের বাচ্চা হয়ে যান। যখন তাদের নিজেদের ক্ষেত্রে কাজ দেওয়া হয়, তখন তাদের মাথা থেকে কোনো পরিকল্পনা আসে না। আমি জানি যে অবসরে গেলে মানুষের স্মৃতিশক্তি কমে যায়, কিন্তু বাপেক্সের এমডিদের দেখি যারাই অবসরে যান তাদের স্মৃতিশক্তি বেড়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, আমি দেখলাম একমাত্র প্রতিষ্ঠান বাপেক্সের নিজেদের লোকরাই নিজেদের দোষারোপ করেন। তারা কোনোদিন নিজেদের প্রশংসা করেন না। যারা বাপেক্সে চাকরি করেন তারাও দোষারোপ করেন, আবার যারা চাকরি শেষ করে বের হয়েছেন তারাও দোষারোপ করেন। এমন একটা সংস্থা কীভাবে কাজ করবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, উন্নয়ন কাজ পরিচালনার জন্য আমাদের প্রচুর গ্যাস লাগবে। হাই প্রেসার জোনে গ্যাস খোঁজা ও গ্যাস উত্তোলনের জন্য বিশেষজ্ঞ প্রয়োজন। বাপেক্সকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া হবে কিন্তু বাপেক্সকেই ঠিক করতে হবে তারা তাদের অবস্থান কোথায় দেখতে চায়। বাপেক্সও কাজ করবে, পাশাপাশি বিদেশি কোম্পানিও কাজ করবে। বিদেশি এক্সপার্টিজ আসার কারণে আমাদেরও এক্সপার্টিজ বাড়ছে।
ওয়েবমিনারে মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাপেক্সের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোরতুজা আহমেদ ফারুক চিশতী। সঞ্চালনা করেন এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার পত্রিকার সম্পাদক মোল্লাহ আমজাদ হোসেন।
ওয়েবমিনারে প্যানেল আলোচক হিসেবে অংশগ্রহণ করেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের সাবেক অধ্যাপক বদরুল ইমাম, জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ম. তামিম, বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলী, জ্বালানি বিশেষজ্ঞ খন্দকার সালেক সুফি, পেট্রোবাংলার সাবেক চেয়ারম্যান মুক্তাদির আলী প্রমুখ।