ঢাকা: এক মাস কারাগারে থাকার পর জামিন পেলেন ভিয়েতনাম ও কাতার ফেরত ২০ বাংলাদেশি।
গত বৃহস্পতিবার (০১ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবদাস চন্দ্র অধিকারী তাদের জামিন দেন।
শনিবার (০৩ অক্টোবর) তুরাগ থানার নন জিআর শাখার কর্মকর্তা এএসআই রবীন্দ্রনাথ রায় এ তথ্য জানান।
গত ১ সেপ্টেম্বর সকালে এই ২০ জনসহ ভিয়েতনাম ও কাতার ফেরত ৮৩ প্রবাসী বাংলাদেশিকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন শেষে সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে দেখিয়ে গ্রেফতার করে তুরাগ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
পরে তাদের সন্দেহভাজন অপরাধী হিসেবে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানি শেষে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
তুরাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল মক্তাকিন বলেন, ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন শেষে ভিয়েতনাম ফেরত ৮৩ বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা ওই দেশে অবস্থানকালে অপরাধ করেছেন। ভিয়েতনাম থেকে তাদের অপরাধের বিষয়টি জানানো হয়েছিল। সে কারণে ৮৩ জনকে সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে (৫৪ ধারায়) গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গ্রেফতার ৮৩ জনের মধ্যে দুজন কাতার ফেরত। বাকিরা সবাই ভিয়েতনাম ফেরত। তারা সেখানে কোনো অপরাধে জড়ানোয় জেলখানায় ছিলেন। সেখান থেকে পরে তাদের বাংলাদেশে পাঠানো হয়। তবে তারা ঠিক কী ধরনের অপরাধ করেছেন, তা এখনও আমরা জানতে পারিনি। তাই সন্দেহজনক হিসেবে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
গত ১৮ আগস্ট ভিয়েতনাম থেকে ১০৬ জন বাংলাদেশি নাগরিককে ঢাকায় ফেরত পাঠানো হয়। করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে তাদের সবাইকে উত্তরা দিয়াবাড়ি ক্যাম্পে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়।
গত ৩১ আগস্ট কোয়ারেন্টিন শেষ হয় তাদের। এরমধ্যে ভিয়েতনামে যারা অপরাধ করেছেন, তাদের বিষয়ে বাংলাদেশ পুলিশের কাছে অভিযোগ আসে। সে অনুযায়ী মঙ্গলবার ১০৬ জনের মধ্যে অভিযুক্ত ৮৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়।