বয়স উত্তীর্ণ মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টরা চাকরির দাবিতে আমরণ অনশনে

বয়স উত্তীর্ণ মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টরা চাকরির দাবিতে আমরণ অনশনে

ঢাকাঅতি দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া বাস্তবায়নসহ বয়স উত্তীর্ণ মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টদের নির্বাহী আদেশে সরাসরি নিয়োগের দাবিতে আমরণ অনশনে মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টরা।

সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নতুন ভবনের সামনে আমরণ অনশন করছেন ২০১৩ সালের মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট নিয়োগ বাস্তবায়ন কমিটি নামে একটি সংগঠন।

২০১৩ সালের মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট নিয়োগ বাস্তবায়ন কমিটির সদস্যরা বলেন, বয়স উত্তীর্ণ মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টদের নির্বাহী আদেশে সরাসরি নিয়োগের দাবিতে ২৩ আগস্ট থেকে আমরণ অনশন চলছে। আজ ৩৭ দিন অতিবাহিত হলেও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে কোনো কিছুই বলা হচ্ছে না। কেউ জিজ্ঞেস করছে না আমরা কেন বসেছি।

২০১৩ সালের মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট নিয়োগ বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক মো. ফিরোজ হোসেন বলেন, ২০১৩ সালের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টের জন্য আবেদন করেছিলেন পাঁচ হাজার ৮০০ জন চাকরি প্রার্থী। আদালত একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত করে। এরপর সাত বছর পেরিয়ে গেলেও কোনও সুরাহা হয়নি। ২০১৩ সালের আবেদনকারীর মধ্যে বর্তমানে দুই হাজার জনের বয়স উত্তীর্ণ হয়ে গেছে।

তিনি আরও বলেন, ২০০৮ সাল থেকে মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টদের নিয়োগ না হওয়ায় গত ১২ বছরে ২৫ থেকে ৩০ হাজার মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট বেকার জীবন-যাপন করছে। সম্প্রতি মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলে বয়স না থাকায় আবেদন করার সুযোগ থাকছে না। তাই আমরা এখন প্রধানমন্ত্রীর নির্বাহী আদেশে বয়স উত্তীর্ণদের সরাসরি নিয়োগের দাবি জানাচ্ছি।

২০১৩ সালের মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট নিয়োগ বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, ২০১৩ সালের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির আবেদনে বয়স উত্তীর্ণ মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টদের সরাসরি নিয়োগসহ সব শূন্য পদের নিয়োগ অতি দ্রুত বাস্তবায়ন করার অনুরোধ করছি।

আমরণ অনশনকারী মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টদের দাবি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড অনুযায়ী একজন চিকিৎসক, তিন জন নার্স ও পাঁচজন মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট থাকা প্রয়োজন। কিন্তু বর্তমানে চিকিৎসক আছে ৩০ হাজার। সেই অনুপাতে মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট থাকার কথা ছিল এক লাখ পঞ্চাশ হাজার। সেখানে সর্বসাকুল্যে আছে মাত্র পাঁচ হাজার ১৬৫ জন।

তারা বলেন, প্রতিবছর নিয়োগ হলে এ ১২ বছরে প্রায় সবারই চাকরি হয়ে যেত। এখন এমন পরিস্থিতি একবার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হলে দ্বিতীয়বার আমাদের পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ থাকে না।

 

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::

More News...

পাকিস্তানের বিলম্বের সুযোগ নিয়ে ২ কোটি ডলারের সিগারেট রপ্তানি করল বাংলাদেশ

আমার অনেক ভাই শহীদ হয়েছে, আমি তো এখনও শহীদ হতে পারলাম না: ড. শফিকুর রহমান