ঢাকা: মুমূর্ষু স্বামীর জন্য রক্ত জোগাড় করতে গিয়ে এক নারী ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার দুই আসামির দু’দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবদাস দাস অধিকারী এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ডে যাওয়া দু’জন হলেন- মনোয়ার হোসেন ওরফে সজীব (৪৩) ও সহায়তাকারী মাশনু আরা বেগম ওরফে শিল্পী (৪০)।
গত শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) এ দু’জনকে গ্রেফতার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-২। রোববার তাদের আদালতে হাজির করে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তপন কুমার বিশ্বাস। শুনানি শেষে বিচারক দু’দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
র্যাব জানায়, গত ১৫ সেপ্টেম্বর বিকেল ৪টার দিকে ভিকটিম তার অসুস্থ স্বামীকে নিয়ে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ভর্তি করান। দায়িত্বরত ডাক্তার তার স্বামীর জন্য জরুরিভাবে রক্তের ব্যবস্থা করার পরার্মশ দেন। ভিকটিম শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের দ্বিতীয় তলার ব্লাড ব্যাংকের সামনে গিয়ে কয়েকজন লোককে বসা দেখতে পান।
তিনি সেখানে ‘ও পজিটিভ’ রক্তের বিষয় জানতে চাইলে মনোয়ার হাসান ওরফে সজীব রক্তের ব্যবস্থা করে দেওয়ার কথা বলেন। পরদিন গত ১৬ সেপ্টেম্বর দুপুর দেড়টার দিকে রক্তের ব্যবস্থা করে দেওয়ার নাম করে তাকে কৌশলে মিরপুর থানার মনিপুরের শিফা ভিলার মাশনু আরা বেগম ওরফে শিল্পীর বাসায় নিয়ে যান। শিল্পীর সহযোগিতায় মনোয়ার ওই নারীকে ধষর্ণ করেন। এসময় তিনি চিৎকার করলে গলা চেপে ধরে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেন মনোয়ার।
র্যাব-২ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এএসপি মো. আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, ভিকটিম লাজলজ্জার ভয় ও স্বামীর অসুস্থতার কারণে ধর্ষণের বিষয়টি এতদিন গোপন রেখেছিলেন। কিন্তু গত ২৪ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মনোয়ার ভিকটিমের স্বামীর মোবাইলে ফোন করে বলেন রক্তের ব্যবস্থা হয়েছে। আপনার স্ত্রীকে হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় পাঠিয়ে দিন। তখন ভিকটিম ফের ধর্ষিত হওয়ার ভয়ে তার স্বামীকে আগের ঘটনা জানান।
এরপর তারা দু’জন গত শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে র্যাব-২ এ অভিযাগ করেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে র্যাব-২ এর একটি দল শুক্রবার রাতে মিরপুর থানার মনিপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামিদের আটক করে।
জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে তিনি জানান, আসামি মনোয়ার ভিকটিমকে ধর্ষণ করার কথা স্বীকার করেছেন। এছাড়া মনোয়ার এও জানান, মাশনু আরা শিল্পীর সঙ্গে তার অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে মিরপুর মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান এএসপি মামুন।