ঢাকা: গ্রামীণ জনগণের জীবনমান উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গৃহীত পদক্ষেপ বাস্তবায়নে পর্যটন সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করবে বলে মন্তব্য করেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা গ্রাম উন্নয়নে ইতোমধ্যে অনেকগুলো যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।
গ্রামীণ মানুষের জীবনমানের উন্নয়নে তিনি নিরন্তর কাজ করে চলেছেন।
বিশ্ব পর্যটন দিবস-২০২০ উপলক্ষে রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের আয়োজিত অনলাইন আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মো. মাহবুব আলী বলেন, জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী গৃহহীনদের ঘর তৈরি করে দিচ্ছেন। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির মাধ্যমে গ্রামের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তার উদ্যোগের ফলেই এখন গ্রামে শহরের সব নাগরিক সুবিধা পৌঁছে যাচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, গ্রামীণ পরিবেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করে গ্রামীণ পর্যটনের উন্নয়নে কাজ করা হচ্ছে। গ্রামীণ জীবনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে গ্রামীণ পর্যটনের উন্নয়নে কমিউনিটি বেইজড পর্যটন প্রসারের জন্য কাজ চলমান রয়েছে। বাংলাদেশের পর্যটন পণ্যের বৈচিত্রতা ও সম্ভাবনা অনেক।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেন, পর্যটনের জন্য বিশেষ বিশেষ অঞ্চল গড়ে তোলার জন্য বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়কে কাজ করতে হবে। গ্রাম বাংলার আবহমান সংস্কৃতিকে ক্ষতিগ্রস্ত না করে গ্রামীণ পর্যটনের বিকাশ নিশ্চিত করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মহিবুল হক বলেন, পর্যটনের অপার সম্ভাবনার দেশ হলেও আমরা আমাদের পর্যটন পণ্যকে এখনো বিশ্ববাসীর সামনে যথাযথভাবে তুলে ধরতে পারিনি। এর কারণে জিডিপিতে আমাদের পর্যটন শিল্পের অবদান এখনো পর্যন্ত কম রয়েছে। পর্যটনের উন্নয়নে আমরা এখন আন্তরিকভাবে কাজ শুরু করেছি।
আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাবেদ আহমেদ, বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান রাম চন্দ্র দাস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া টোয়াবের সভাপতি মোহাম্মদ রাফিউজ্জামান প্রমুখ।