মৌলভীবাজার: সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুকের পোস্টের মাধ্যমে দুই বছর পর নিখোঁজ সন্তানকে ফিরেছেন এক বাবা। স্থানীয় সমাজসেবকদের সহায়তায় পরে শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে নিখোঁজ ওই যুবককে তার বাবার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
জানা যায়, মানসিক ও শারীরিকভাবে অসুস্থ অজ্ঞাতপরিচয়ের ওই যুবককে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের প্রথম গেইটে পড়ে থাকতে পার্থ সারথি দাশ নামে এক ব্যক্তি। পরে তিনি ওই যুবকের ছবি তুলে তার ফেসবুকে স্ট্যাস্টাস দেন। এ বিষয়টি নজরে আসে শ্রীমঙ্গল অঙ্গীকার সামাজিক সাহিত্য পরিষদের সদস্যদের। পরে বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) অসুস্থ অজ্ঞাতপরিচয়ের ওই যুবককে উদ্ধার করে শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন স্বেচ্ছাসেবক সরোয়ার জাহান জুয়েল, দিগ্বিজয় রায় আকাশ, আজিজুর রহমান নাঈম প্রমুখ।
স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যরা ছেলেটির ছবি ফেসবুকে পোস্ট দেওয়াসহ ব্যক্তিগত পর্যায়ে বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগের করেন ছেলেটির পরিচয় জানতে। তাদের ফেসবুকের সেই পোস্টটির মাধ্যমে ময়মনসিংহের এক ব্যক্তি ছেলেটির ছবি দেখে চিনতে পারেন। পরে ওই যুবকের ছবি তার বাবাকে দেখান তিনি। এ সময় ছেলের ছবি দেখেই তিনি ছেলেকে চিনে ফেলেন।
পরিবারিক সূত্রে জানা যায়, নিখোঁজ হওয়া ওই যুবকটির নাম শরিফ মিয়া। তার বাবার নাম খোরশেদ আলী, মা আকলিমা খাতুন। তারা ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার কামারগাঁওয়ের বাসিন্দা।
শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নজরুল ইসলাম নিখোঁজ যুবককে তার বাবার হাতে তুলে দেন।
রোবরার (২৭ সেপ্টেম্বর) ইউএনও নজরুল ইসলাম বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে এক হতভাগ্য বাবার কাছে তার হারানো সন্তানকে খুঁজে পেতে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছেন শ্রীমঙ্গলের কিছু তরুণ। এ বিষয়টি আমাদের সমাজের জন্য অত্যন্ত ইতিবাচক ঘটনা। এভাবেই আমাদের তরুণরা মহৎ কাজের মাধ্যমে পরিবার এবং সমাজে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারেন। আমি এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।