টানা বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে বগুড়ায় যমুনা নদীর পানি আবারও বাড়তে শুরু করেছে। শনিবার যমুনা নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার ১১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ফলে আবারও বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এতে নদী পাড়ের বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ বলছে আবহাওয়া ঠিক হয়ে গেলে পানিও কমে যাবে।
এদিকে, বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলায় যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়ে চরের পাঁচটি ইউনিয়নের বোহাইল, ধারাবর্ষা, শনপচা, ইন্দুরমারা, জামথল, আনন্দবাজার টেংড়াকুড়া, পাটেরদহ, মানিকদাইড় ও বহুলাডাঙ্গা বেশিরভাগ এলাকায় হাঁটু পানি উঠেছে।
প্রথম দফায় বন্যার পর স্থানীয় চাষিরা চরের জমিতে আমন ধান, চরের চিকা ধান, হাইব্রীড মরিচ চাষ করেছিল। বেশিরভাগ জমিই এখন পানির নিচে তলিয়ে গেছে। পানি বাড়ায় যমুনা নদীতে নতুন করে আবার ভাঙন দেখা দিয়েছে।
নদী ভাঙন থেকে রেহাই পায়নি ঘরবাড়ি, রাস্তঘাট, এমনকি বিদ্যালয়। ভাঙনে যেমন দিশেহারা সারিয়াকান্দির বাঙালি ও যমুনা তীরবর্তী অঞ্চলের মানুষ, তেমনি ভাঙনে বিলীন হয়ে যাওয়া বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পড়েছে দুশ্চিন্তায়।
বগুড়ার সারিাকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাসেল মিয়া জানান, পানি বৃদ্ধি পাওয়ার পর কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তার একটি তালিকা করা হচ্ছে। এর আগে, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারিভাবে সহযোগিতা করা হয়েছে।
বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবর রহমান জানান, বাঙালি ও যমুনার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। শনিবার যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার ১১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। শনিবার সকাল ৬টায় নদীর পানি পরিমাপ করা হয়।