সিলেটের মুরারিচাঁদ (এমসি) কলেজের ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে নববধূকে গণধর্ষণের ঘটনা খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে কলেজের প্রধান ফটকের দারোয়ান রাসেল মিয়া ও চৌকিদার সবুজ আহমদ রুহানকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
শনিবার গণমাধ্যমকে খবরটি নিশ্চিত করেছেন এমসি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর সালেহ আহমদ। তিনি বলেন, হোস্টেলের অভ্যন্তরে ঘটে যাওয়া এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সালেহ আহমদ আরও জানান, কলেজের গণিত বিভাগের প্রধান অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জীবন কৃষ্ণ আচার্য্য ও একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জামাল উদ্দিনের সমন্বয়ে এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এদের মধ্যে শেষের দু’জন হোস্টেল সুপারের দায়িত্বে রয়েছেন।
উল্লেখ্য, শুক্রবার সন্ধ্যায় স্বামীকে নিয়ে এমসি কলেজে ঘুরতে গিয়ে অন্তত ছয়জন ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীর দ্বারা কলেজ ছাত্রাবাসে গণ-ধর্ষণের শিকার হন এক নববধূ। ধর্ষণের ঘটনায় ৬ ছাত্রলীগ কর্মীরসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ওই গৃহবধূর স্বামী।
আসামিরা হলেন এমসি কলেজ ছাত্রলীগের নেতা ও ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনি (২৫), মাহফুজুর রহমান মাসুম (২৫), সাইফুর রহমান (২৮), রবিউল ইসলাম (২৫), অর্জুন লস্কর (২৫) ও তারেকুল ইসলাম তারেক (২৮) । এর মধ্যে রবিউল ও তারেক (২৮) বহিরাগত ছাত্রলীগ কর্মী বলে জানা গেছে।