মৌলভীবাজার: টি প্ল্যান্টার্স অ্যান্ড ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টিপিটিএবি) ব্যবস্থাপনায় শ্রীমঙ্গলে চলতি মৌসুমের অষ্টম আন্তর্জাতিক নিলাম অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই নিলামে বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিটিআরআই) তৈরি গ্রিনটি বিক্রি হয়েছে কেজি প্রতি ১৬শ টাকায়।
দুইটি লটে ২০ কেজি করে মোট ৪০ কেজি গ্রিন টি বিক্রির জন্য নির্ধারণ করা হয়। গ্রিনটি বিক্রি করে শ্রীমঙ্গল ব্রোকার্স এবং দর হাকিয়ে কেনে শ্রীমঙ্গলের গুপ্ত টি হাউজ।
গুপ্ত টি হাউজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) পীযুষ কান্তি দাশগুপ্ত শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বলেন, বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) শ্রীমঙ্গলে অনুষ্ঠিত নিলামে বিটিআরআই এর গ্রিন টির সর্বাধিক মূল্য কেজিপ্রতি ১৬শ টাকা নির্ধারিত হয়। আমরা পুরো লট কিনেছি। সঙ্গে ভ্যাট যুক্ত হবে।
সচেতন চা প্রেমীদের কাছে গ্রিন টির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। অনেক চিকিৎসক রোগীদের পরামর্শ দেন এই উপকারী গ্রিনটি পান করতে। এটি নিয়মিত পানে ক্যানসারের ঝুঁকি কমে, শরীরের বাড়তি ওজন কমে, খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমে যায়, উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যা দূর করাসহ নানান রোগের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে বলে জানান পীযুষ
শ্রীমঙ্গল ব্রোকার্সের ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এমডি) হেলাল উদ্দিন বলেন, নিলামে যত গ্রেডের (প্রকার) চা বিক্রি হয়েছে তার সর্বোচ্চ অ্যাভারেজ রেট (গড় মূল্য) কেজিপ্রতি ১৯২ টাকা এবং সর্বনিম্ন কেজিপ্রতি ১৬৫ টাকা। তবে এককভাবে ধরা হলে কেজিপ্রতি চা সর্বোচ্চ ২৩২ টাকা।
শ্রীমঙ্গলের ৮ম নিলামের জন্য বিভিন্ন চা বাগানের নানা গ্রেডের চা ৬৫ হাজার কেজি চা মজুদ করা হলেও নিলামে বিক্রি হয়েছে প্রায় ৫০ হাজার কেজি চা। বিক্রি হওয়া চায়ের বাজারমূল্য প্রায় এক কোটি টাকা বলে জানান হেলাল।
এ নিলামে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অর্ধশতাধিক বায়ার ও তিনটি ব্রোকার হাউজ অংশ নেয় বলে জানান টিপিটিএবি।