সুনামগঞ্জে থেমে থেমে ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সীমান্তের ওপারে ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ৪৪০ মিলিমিটার রেকর্ড বৃষ্টিপাত হওয়ায় সীমান্তবর্তী এই জেলাটি এক মৌসুমে চতুর্থ দফায় বন্যা কবলিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৩৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে আগামী ২৪ ঘণ্টায় জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।
জানা যায়, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে তাহিরপুর-সুনামগঞ্জ সড়কের শক্তিয়ারখলা সাব-মার্জেবল অংশ ডুবে যাওয়ায় ওই সড়কে সরাসরি যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এদিকে, আশ্বিন মাসে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন জেলার আমন চাষীরা। পানি আরও বাড়লে বিপুল পরিমাণ আমন ধান বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক মো. সফর উদ্দিন জানান, ইতিমধ্যে জেলার ১০টি উপজেলায় ১ হাজার ৯১৮ হেক্টর আমন ধান পানির নিচে তলিয়ে গেছে। পানি দ্রুত নেমে গেলে ডুবে যাওয়া ধানের ক্ষয়ক্ষতি কম হবে। আর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে।
সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ বলেন, নদীর পানি বিপৎসীমার উপরে ওঠার পর বন্যার আশঙ্কাকে সামনে রেখে বন্যা মোকাবিলায় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আমি সকল উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের বন্যা মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দিয়েছি।