তাঁবুতে থাকতে হয়নি আমাদের কোনো করোনা রোগীকে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

তাঁবুতে থাকতে হয়নি আমাদের কোনো করোনা রোগীকে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ঢাকা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, অনেক আগেই ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ইউনিটগুলো স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছিলাম। কিন্তু ডেঙ্গু ও করোনা ভাইরাসের কারণে আটকে গিয়েছিলো।

মুজিববর্ষে এ ২৩টি নতুন ইউনিট উদ্বোধন করতে পেরে আমি আনন্দিত। এজন্য প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ও অনুপ্রেরণায় এটি সম্ভব হয়েছে। তার চেষ্টায় এগিয়ে যাচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা।

বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ঢামেক হাসপাতালের উন্নত ও সম্প্রসারিত চিকিৎসাসেবার জন্য স্থাপিত ২৩টি ইউনিট ও বেশ কয়েকটি সেবামূলক কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম, অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু ইউসুফ ফকির, ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন, ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. খান আবুল কালাম আজাদসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ঢাক মেডিক্যাল একটি ঐতিহ্যবাহী হাসপাতাল। দেশের অন্যতম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল এটি। আজকে এখানে ২৩টি ইউনিট একসঙ্গে উদ্বোধন করতে পেরে আমি আনন্দিত। এজন্য শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি। যারা এর পেছনে শ্রম দিয়েছেন তাদের ধন্যবাদ জানাই। এ ইউনিটগুলোর জন্য হাসপাতালটি আরও সমৃদ্ধ হয়েছে। এরফলে রোগীদের আরও ভালো সেবা দিতে পারবে।জাহিদ মালেক বলেন, এরই মধ্যে ঢাকা মেডিক্যাল পাঁচ হাজার বেডে উন্নতিকরণের কাজও শুরু হয়েছে। করোনা ভাইরাসের জন্য দেশে ১৫ থেকে ২০ হাজার করোনা বেড করা হয়েছিলো, এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেড ছিলো ঢাকা মেডিক্যালে এবং এখানে সেবাও বেশি পেয়েছেন রোগীরা।

এতো জনবহুল দেশ হয়েও করোনা রোগীদের চিকিৎসায় বাংলাদেশ একটি উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। বলা হয়েছিলো, সেপ্টেম্বরে আমাদের দেশে হাজার হাজার রোগী মারা যাবে। কিন্তু আমাদের চিকিৎসা ব্যবস্থার জন্য এমন কিছুই হয়নি। আমাদের দেশে করোনা রোগীর সুস্থ্যতার হার ৭৫ শতাংশ। করোনা আক্রান্ত কোনো রোগী সেবা পায়নি এমন কোনো নজর নেই। বাইরের দেশের মতো কোনো রোগীকে তাঁবুতে থাকতে হয়নি। আমার দেশের চিকিৎসা প্রটোকল বিশ্বমানের হওয়ায় হাজার হাজার লোক বেঁচে গেছেন। তাই চিকিৎসক, নার্সসহ সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ। সবার প্রচেষ্টায় এ অর্জন সম্ভব হয়েছে।ভ্যাকসিনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছেন। যে দেশের ভ্যাকসিন সব চেয়ে ভালো ও কার্যকর হবে আমরা সেই দেশ থেকেই ভ্যাকসিন আনবো।তিনি বলেন, দ্বিতীয় ধাপে অনেক দেশে করোনা ঝুঁকি বাড়ছে। আমাদের দেশে অনেক লোক এখন স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই চলাফেরা করছেন। কিন্তু আমাদের সজাগ থাকতে হবে। দ্বিতীয ধাপের করোনা ঝুঁকির জন্য অগ্রিম প্রস্তুতি নিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসেবায় সন্তুষ্ট প্রকাশ করেছেন। শীতের সময়ে আরও বেশি সতর্ক হতে হবে। এসময়েই বেশি সামাজিক অনুষ্ঠান হয়। যেখানে করোনা ঝুঁকি বাড়তে পারে। সেদিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, লকডাইন একটি জাতীয় পর্যায়ের সিদ্ধান্ত। ফের লকডাউনের বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতির বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, স্বাস্থ্যখাতে যেখানে দুর্নীতি, সেখানেই ব্যবস্থা নিচ্ছি।

 

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::

More News...

দুর্ঘটনার আশঙ্কায় জনমনে উদ্বগে বীরগঞ্জের সড়কগুলো দাপিয়ে বড়োচ্ছে কিশোর চালকরা

সন্দ্বীপে কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনা উদ্বোধন