ঢাকা: ঢাকা-২ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামের একটি ফোনালাপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে হওয়া মামলায় স্থানীয় ফিড অপারেটর আলী আহম্মেদের ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান নূর রিমান্ডের এ আদেশ দেন।
আদালতে বাদীপক্ষে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি গাজী মো. শাহ আলম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মামুনসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী শুনানি করেন।
পরে গাজী শাহ আলম বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় তদন্ত কর্মকর্তার চাওয়া ১০ দিনের রিমান্ড আবেদনের উপর আমরা বাদীপক্ষে শুনানি করেছি। আদালত সন্তুষ্ট হয়ে ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ১১ সেপ্টেম্বর রাতে স্থানীয় ফিড অপারেটর আলী আহমদ ও দেশত্যাগী কথিত সাংবাদিক কনক সারোয়ারের নামে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর থানায় কামরুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলাটি করেন। সেই মামলায়ই ফিড অপারেটর আলী আহামদকে গ্রেফতার করা হয়। মামলাটি তদন্ত করছেন পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
ঘটনার বিবরণীতে জানা যায়, কামরাঙ্গীরচরের খলিফাবাগ ও রসুলপুর এলাকায় কেবল নেটওয়ার্কের লাইন সংযোগ রয়েছে ঢাকা টোটাল কেবল নেটওয়ার্কের। প্রতিষ্ঠানটির পাওনা টাকা আটকে রেখেছেন ফিড অপারেটর আলী আহমদ। বিষয়টি নিয়ে তিনি স্থানীয় এমপি অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামের কাছে নালিশ দেন। নালিশের পরিপ্রেক্ষিতে আলী আহমদকে ফোন করে ‘কেন টাকা দিচ্ছেন না’ তা জানতে চান এমপি কামরুল।
কথোপকথনটি রেকর্ড করে তা চাঁদাবাজি হিসেবে উল্লেখ করে অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অনলাইনে ব্যাপক প্রচারণা চালানো হচ্ছে। কামরুলের বিরুদ্ধে প্রচারণায় রেকর্ডটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও ইউটিউবে প্রকাশ করেন দেশত্যাগী কথিত সাংবাদিক কনক সারোয়ার ও বিএনপির জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সম্পাদক একেএম ওয়াহিদুজ্জামান। তবে মামলায় ওয়াহিদুজ্জামানকে আসামি করা হয়নি।
কামরাঙ্গীরচর থানায় দায়ের করা মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে এলাকার বিভিন্ন ঘটনা, অভিযোগের বিষয়ে তাকে (এমপি কামরুল) সালিশ করতে হয়। সালিশে নিষ্পত্তির কারণে বিগত ১২ বছরে শত শত ঘটনা-বিষয় মামলা-মোকদ্দমায় গড়ায়নি।
মামলার অভিযোগে আরও বলা হয়, করোনাকালে সামনা-সামনি বসে বিবাদ নিষ্পত্তি সম্ভব নয় বিধায় সম্প্রতি আসা অভিযোগটি তিনি টেলিফোনে নিষ্পত্তির উদ্যোগ নেন। কিন্তু আলী আহমদ অসৎ উদ্দেশে এই কথোপকথন রেকর্ড করে জনৈক কনক সারোয়ারকে সরবরাহ করেন। কনক সারোয়ার সেটি ইউটিউবে ভাইরাল করেন।