নাটোরের বড়াইগ্রামে ১৬ বছর বয়সী নিজ মেয়েকে আটকে রেখে টানা দুই মাস ধরে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে পিতার বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে মেয়েটির মা বড়াইগ্রাম থানায় ধর্ষক পিতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। অভিযুক্তের বাড়ি উপজেলার বড়াইগ্রাম পৌরশহরের গোয়ালফা এলাকা।
এলাকা এবং পরিবার সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত পিতা সাধক ফকির-তরিকায় সন্নাসীব্রত হলে গত দুই বছর আগে স্ত্রী তাকে ছেড়ে অন্য একটি এলাকায় বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয় এবং মেয়ে নাটোরের দিঘাপতিয়া পূর্ব হাগুরিয়া গ্রামের তার নানার বাসায় থাকে। গত কোরবানির ঈদের ৬ দিন আগে পিতা বিভিন্ন কৌশলে মেয়েকে বড়াইগ্রামে তার বাড়িতে নিয়ে আসে এবং জোরপূর্বক আটকে রেখে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করে।
ধর্ষণের শিকার মেয়েটি জানায়, সর্বশেষ গত রবিবার রাতে তাকে ধর্ষণ করে। এর আগে দুই মাস যাবৎ পিতা তাকে নিয়মিতভাবে ধর্ষণ করে আসছে। মেয়েটি এ ঘটনায় দাদা ও তার দাদীকে জানালেও এতে কোন লাভ হয়নি বরং সে আরও অসহায় হয়ে পড়ে এবং বিভিন্ন সময় যৌন নির্যাতনের পাশাপাশি শারীরিকভাবেও নির্যাতনের শিকার হয়। বাড়িতে কোন লোকজন এলে তার সাথে দেখা বা কথা বলতেও দিতো না এই পরিবারের সদস্যরা। পরে মেয়েটি তার নানীকে ঘটনা খুলে বললে মেয়েটির মা ও নানী গত সোমবার এসে মেয়েটিকে উদ্ধার করে ও থানায় মামলা দায়ের করে।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলিপ কুমার দাস জানান, এ ব্যাপারে মেয়েটির মা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছে। অভিযুক্ত পিতা পলাতক রয়েছে। তাকে আটক করতে পুলিশ চেষ্টা করছে।