ঢাকা: পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করে অবৈজ্ঞানিকভাবে কুকুর অপসারণ করার কর্মসূচি বাতিলের দাবি জানিয়েছে পরিবেশ বিষয়ক সংগঠন (পরিবেশ বীক্ষণ)।
মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) সংগঠনটির সমন্বয়ক ঐশ্বর্য আহম্মেদের পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, পৃথিবী জন্মলগ্ন থেকেই প্রকৃতি নির্ভর। গাছ-পালা, জীব-জন্তু, মানুষ প্রভৃতি সবাই একে অপরের পরিপূরক। প্রত্যেকেই কোনো না কোনোভাবে একে অপরের ওপর নির্ভরশীল। এখন আমরা উঠেপড়ে লেগেছি অবৈজ্ঞানিক উপায়ে বেআইনিভাবে কুকুর নিধনের কাজে। কারণ হিসেবে যা বলা হচ্ছে তা অত্যন্ত হাস্যকর। কুকুর অপসারণের সিদ্ধান্তের ফলে কুকুরের কামড় ও রেবিস ভাইরাস বাড়ার ঝুঁকি রয়েছে বলে আশঙ্কা করছেন অনেক বিশেষজ্ঞ।
‘পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের মতে ব্যাঙ না থাকার কারণে, ফড়িং না থাকার কারণে, গাপ্পি মাছ না থাকার কারণে মশার উৎপাত বেড়েছে। ফলে ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া হচ্ছে। তেমনি কুকুর না থাকলে আমরা বুঝতে পারবো কি কি রোগ আমাদের পোহাতে হয়। ’
পরিবেশ বীক্ষণের পক্ষ থেকে বলা হয়, একবার নিউইয়র্কে যখন কুকুরদের ধরে সেল্টার হোমে পাঠানো হলো তখন সেখানে ইঁদুরের উৎপাত বেড়ে গেলো। আমাদের শহরেও ড্রেন ও ম্যানহোলে লাখ লাখ ইঁদুর আছে। তাদের বংশ বিস্তার কুকুরের চাইতেও অনেক দ্রুত হয়। কুকুরগুলো যখন রাতের বেলায় রাস্তা-ঘাটে ঘুরে বেড়ায় তখন ইঁদুর বাইরে বের হয় না। ইঁদুর প্রায় ১৪ থেকে ১৫টা রোগের বাহক।
বিবৃতিতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কুকুর অপসারণ কর্মসূচি বাতিল করে নিয়মিত ভ্যাকসিন দেওয়া ও জন্মনিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির দাবি জানানো হয়। পাশাপশি কুকুর অপসারণের সিদ্ধান্ত বাতিল না করলে পরিবেশ সচেতন এবং প্রাণ প্রকৃতিপ্রেমী সবাইকে নিয়ে আমরা প্রতিবাদ গড়ে তোলা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।