ভোলা: উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও অমাবস্যার প্রভাবে ভোলায় নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে তলিয়ে গেছে উপকূলের নিচু এলাকা।
পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন হাজারো মানুষ।
সোমবার (২১ সেপ্টম্বর) দুপুর থেকে বাঁধের বাইরের নিচু এলাকায় পানি ঢুকে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। এতে তৃতীয় দিনের মতো চরম দুর্ভোগে পড়েছেন কলাতলীর চর, চর যতিন, সোনার চর, চর পাতিলা, ঢালচর, রামদাসপুর, মদনপুর, মাঝের চর, গঙ্গাকীর্তি, বলরাম শুরা, চর জহিরুল উদ্দিন, কচুয়াখালীর চরসহ নিম্নাঞ্চলের অন্তত ২০ এলাকার মানুষ।
একদিকে বৈরী আবহাওয়া অন্যদিকে অমাবস্যার প্রভাবে জোয়ারের পানিতে কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন উপকূলের বাসিন্দারা। অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে রাস্তা-ঘাট, পুকুর-ঘের, ফসলি জমি ও বসতঘরসহ বিভিন্ন স্থাপনা তলিয়ে গেছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন পানিবন্দি মানুষজন। প্রতিদিন দুই বার করে পানি উঠে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন তারা।
মদনপুর এলাকার বাসিন্দা লুৎফর পাটোয়ারী বলেন, জোয়ারের পানিতে পুরো এলাকা তলিয়ে গেছে। মানুষের পুকুরের মাছ ভেসে গেছে, তলিয়ে গেছে ফসল। দুর্ভোগের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন পানিবন্দি মানুষজন।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ভোলা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌলশী মো. হাসানুজ্জামান বলেন, মেঘনার পানি বিপৎসীমার ৬৪ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। উজানের পানির ঢল ও অমাবস্যার প্রভাবে নদীর পানি বেড়েছে। এতে বাঁধের নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এ অবস্থা আরও দু’দিন থাকতে পারে।
জানা গেছে, গত দু’দিন মেঘনার পানি বিপৎসীমার ৫৪ সেন্টিমিটার ওপরে ছিল। এ নিয়ে টানা তিনদিন প্লাবিত হলো উপকূল।