সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানা ছাত্রলীগের সভাপতি পদে জামায়াত নেতার ছেলে প্রার্থী হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে ছাত্রলীগ নেতাদের মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে।
ছাত্রলীগ নেতাদের অভিযোগ, দলের কিছু নেতারা জামায়াত নেতার ছেলে সভাপতি প্রার্থী তাওহীদুর রহমান বাচ্চুকে মদদ দিচ্ছেন। এতে আগামীতে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে চরম ক্ষতি হবে বলে মনে করছেন তারা।
অবিলম্বে বাচ্চুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে ছাত্রলীগ নেতারা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ ও স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ জেলা ছাত্রলীগের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, সলঙ্গা থানার রামকৃষ্ণপুর ইউপির ২ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের আমির নুরুল ইসলাম ওরফে নুর মোহাম্মদের ছেলে তাওহীদুর রহমান বাচ্চু কখনো ছাত্রলীগ না করলেও বর্তমানে থানা ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী হয়েছেন।
ইতিমধ্যে এলাকায় প্রচার-প্রচারণাসহ লবিং-গ্রুপিং শুরু করেছেন। বিষয়টি তৃনমূল আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতারা জানতে পেরে বিস্মিত হয়ে পড়েন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, সভাপতি প্রার্থী বাচ্চু একজন ছাত্রদলের সক্রিয় সদস্য ছিলেন। তার বাবা একজন পদবীধারী জামায়াত নেতা। মামা জামায়াতের সক্রিয় সদস্য ও খালাতো ভাই মেহেদী হাসান ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক। তার পরিবারের কেউ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত নয়।
ইতিমধ্যে কতিপয় স্বার্থলোভী নেতাকে ম্যানেজ করে জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ও থানা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি পদ বাগিয়ে নিয়েছেন।
সলঙ্গা থানা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রিয়াদুল কবির হান্নান বলেন, সভাপতি প্রার্থী বাচ্চু আমার ইউনিয়নের বাসিন্দা। কখনো তাকে ছাত্রলীগের কর্মকান্ডের সাথে জড়িত দেখি নাই। বাচ্চুর পরিবার জামায়াতের রাজনীতির সাথে জড়িত। তিনি ছাত্রদলের সক্রিয় সদস্য ছিলেন। কীভাবে তিনি ছাত্রলীগের পদ পান এবং সভাপতি প্রার্থী হয়, তা আমাদের বোধগম্য নয়।
রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহম্মেদ জানান, একজন জামায়াত নেতার ছেলে যদি ছাত্রলীগের নেতা হয়, তবে ছাত্রলীগের অপূরণীয় ক্ষতি হবে।
সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুল্লাহ-বিন আহমেদ জানান, বাংলাদেশ ছাত্রলীগে কোনো জামায়াত-বিএনপি পরিবারের লোকের স্থান হবে না। ইতিমধ্যে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্ত প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সলঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি রায়হান গফুর জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। লিখিত অভিযোগের সাথে বাচ্চুর বাবার জামায়াতের আমির ছিল তার একটি কপিও পেয়েছি। তদন্ত করে যদি প্রমাণিত হয় তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগ সভাপতি প্রার্থী তাওহীদুর রহমান বাচ্চু জানান, আমি দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। আমার বাবা জামায়াতের কোনো রাজনীতির সাথে জড়িত নয়। মূলত আমি যাতে সভাপতি না হতে পারি, এজন্য একটি মহল আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।