সিরাজগঞ্জ: উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিরাজগঞ্জ ও কাজিপুরে দ্রুতগতিতে বাড়ছে যমুনা নদীর পানি। গত ২৪ ঘণ্টায় সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে ৩৩ ও কাজিপুর পয়েন্টে ২৭ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে।
যা চলতি বছরে একদিনে সর্বোচ্চ।
এদিকে মাত্র তিনদিনের মধ্যেই যমুনার পানি বেড়ে বিপৎসীমার কাছাকাছি আসায় তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের মানুষগুলোর মধ্যে ৫ম দফায় বন্যার আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
শুক্রবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে জানা যায়, সকালে যমুনার পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ১৭ মিটার। যা বিপৎসীমার মাত্র ১৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত। বৃহস্পতিবার সকালে রেকর্ড করা হয়েছিল ১২ দশমিক ৮৪ মিটার। ২৪ ঘণ্টায় পানি বেড়েছে ৩৩ সেন্টিমিটার।
অপরদিকে কাজিপুর পয়েন্টে সকালে রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ দশমিক ১৯ মিটার। যা বিপৎসীমার মাত্র ৬ সেন্টিমিটার নিচে রয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় বেড়েছে ২৭ সেন্টিমিটার।
গত তিনদিনে সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে পানি বাড়ার হার- বুধবার ৬ সেন্টিমিটার, বৃহস্পতিবার ২৮ সেন্টিমিটার ও শুক্রবার ৩৩ সেন্টিমিটার। কাজিপুর পয়েন্টে পানি বাড়ার হার- বুধবার ৩ সেন্টিমিটার, বৃহস্পতিবার ২৩ সেন্টিমিটার ও শুক্রবার ২৭ সেন্টিমিটার।
এদিকে দ্রুতগতিতে পানি বাড়ার ফলে ৫ম দফা বন্যা আতঙ্ক শুরু হয়েছে নিম্নাঞ্চলের মানুষগুলোর মধ্যে। ইতোমধ্যে ধানের বীজতলাসহ নিম্নভূমির ফসলগুলো তলিয়ে যেতে শুরু করেছে।
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার মেছড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ ও কাওয়াকোলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম বলেন, চরের মানুষ সবেমাত্র বন্যার হাত থেকে মুক্ত হয়েছে। তারা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু গত তিনদিনের বৃষ্টিতে যমুনায় পানি বেড়ে চরাঞ্চলের মানুষের দ্বারে আবারও কড়া নাড়ছে বন্যা। চরের আতঙ্কিত মানুষগুলো চরম হতাশার মধ্যে রয়েছে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী এ কে এম রফিকুল ইসলাম বলেন, টানা বর্ষণের কারণে যমুনায় পানি বাড়ছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টা পানি বাড়া অব্যাহত থাকার আভাস দিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। তবে খুব দ্রুতগতিতে পানি বাড়তে থাকলেও এ নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই। যমুনার পানি এবার বিপৎসীমা অতিক্রমের কোনো সম্ভাবনা নেই।