কৃষি বিলের প্রতিবাদে মোদি মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিলেন বিজেপি শাসিত ভারতের ‘ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স’ (এনডিএ) জোটের অন্যতম শরিক দল ‘শিরোমণি আকালি দল’ (এসএডি)-এর সাংসদ ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রী হরসিমরত কৌর বাদল।
বৃহস্পতিবার রাতেই মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দেন হরসিমরত। তার ইস্তফা পত্র গ্রহণ করেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোভিন্দ। রাতেই রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে এক প্রেস বিবৃতি দিয়ে জানানো হয় ‘ভারতীয় সংবিধানের ৭৫ নম্বর ধারার ২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে রাষ্ট্রপতি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে শ্রীমতি হরসিমরাত কৌর বাদলের পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করেছেন।’
কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং টোমারকে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসাবে হরসিমরতের ছেড়ে যাওয়া খাদ্য ও প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় কৃষি নীতি নিয়ে দ্বিতীয় দফায় মোদি সরকারে এই প্রথম কোন মন্ত্রী বিদ্রোহ করলেন।
বৃহস্পতিবারই কৃষি ক্ষেত্রে সংস্কারের দুইটি বিল নিয়ে লোকসভায় বিতর্কের সময় বিরোধিতা করে শিরোমণি আকালি দল। এরপরই তার স্বামী আকালি দলের প্রধান সুখবীর সিং বাদল ইঙ্গিত দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় তাদের একমাত্র মন্ত্রী ইস্তফা দেবেন। আর রাতেই ইস্তফা পত্র পাঠিয়ে দেন হরসিমরত। পরে ট্যুইট করে কৃষকদের পাশে থাকতেই কৃষক বিরোধী বিলের বিরোধিতা করে ইস্তফার দেন বলেও জানান তিনি। মন্ত্রী জানান ‘কৃষক বিরোধী বিল ও অর্ডিন্যান্সের প্রতিবাদ জানিয়ে আমি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিয়েছি। কৃষকদের বোন ও কন্যা হিসাবে তাদের পাশে থাকার জন্য আমি গর্ব অনুভব করছি।’
পরে তিনি জানান ‘কৃষকদের আশঙ্কার সমাধান না করেই কেন্দ্র এই কৃষি সম্পর্কিত বিল আনার কারণেই আমি এই সরকারের অংশ হতে চাই না।’
তবে মন্ত্রিত্ব ছাড়লেও আকালি দল এখনি এনডিএ ছাড়ছে না বলেই খবর। সুখবীর সিং বাদল জানান ‘এই বিলগুলিতে অনেক বিষয় আছে যা কৃষকদের স্বার্থ বিরোধী। কৃষকদের আশঙ্কা দূর করতে আমরা বারবার সরকারকে অনুরোধ জানালেও সরকারের তরফে কোন সদর্থক পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তাই আমরা এই বিলগুলির বিরোধিতা জানাচ্ছি।’
এদিকে কেন্দ্রের কৃষি বিলের প্রতিবাদে বিহার, দিল্লিতেও বিক্ষোভ দেখাচ্ছে কংগ্রেস। এই একই ইস্যুতে আগাম ২৫ সেপ্টেম্বর ভারত জুড়ে হরতাল ও বিক্ষোভের ঘোষণা দিয়েছে ‘অল ইন্ডিয়া কিষাণ সংঘর্ষ কোঅর্ডিনেশন কমিটি’ (এআইকেএসসিসি)।