ঢাকা: চোরাই মোবাইলফোন কিনে বিশেষ এক ধরনের ডিভাইস ব্যবহার করে আইএমইআই নম্বর পরিবর্তন করতো একটি চক্র। পরে সেই মোবাইল আবার হাত বদল হয়ে চলে যাচ্ছে সাধারণ ক্রেতার হাতে।
আইএমইআই নম্বর পরিবর্তন করার ডিভাইসসহ সংঘবদ্ধ চক্রের ১২ সদস্যকে আটক করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আটকরা হলেন— মুরাদ খান (২৩), লাভলু হাসান (২০), আল আমিন ওরফে অনিক (২২), বশির আলম শুভ (৩০) আব্দুল মালেক (৩২), মো. তামিম (২০), শাহ আলম (৩৬), স্বপন (৩৪), জাহাঙ্গীর আলম (২৬), ইমাম হাসান (২২), মো. আরিফ (৩৪) ও আল আমিন (২০)।
বুধবার সিআইডির ঢাকা মেট্রো পূর্বের একটি টিম তাদের আটক করে। বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিআইডির এডিশনাল ডিআইজি শেখ রেজাউল হায়দার।
তিনি বলেন, বিভিন্ন অপরাধীরা হত্যাসহ ছিনতাই, ডাকাতি করে ব্যবহারকারীর মোবাইল নিয়ে যাওয়ার কারণে তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সহজেই অপরাধীদের শনাক্ত করতে পারতো। কিন্তু সংঘবদ্ধ এই চক্রটি মোবাইল ফোনের আইএমইআই পরিবর্তন করার কারণে চাঞ্চল্যকর মামলার রহস্য উদঘাটনসহ প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেফতার করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
আটকদের জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে শেখ রেজাউল হায়দার বলেন, গ্রেফতার মুরাদ খান ও লাভলু হাসান শহরের বিভিন্ন চোরদের কাছ থেকে চোরাই মোবাইল ফোন কিনে নিয়ে তার লক খোলা এবং মোবাইলের আইএমইআই নম্বর পরিবর্তন করার জন্য অনিক, বশির ও মীম টেলিকমের মালিক আব্দুল মালেকের কাছে দিতেন।
অনিক, বশির ও মালেক Z3x ডিভাইস ব্যবহার করে মোবাইলের আইএমইআই পরিবর্তন করতেন। এরপর সুনির্দিষ্ট গ্রাহকের কাছে নির্ধারিত মূল্যের কম মূল্যে মোবাইলগুলো বিক্রি করতেন। গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে আইএমইআই পরিবর্তন করা ২৬৫টি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের চোরাই মোবাইল, আইএমইআই পরিবর্তন করার Z3x নামের ৯টি ডিভাইস উদ্ধার করা হয়।
চক্রের সদস্যরা এই ডিভাইসগুলো গুলিস্তানের পাতাল মার্কেটের মাসুদ টেলিকম ও কবির টেলিকম থেকে কেনেন বলে জানা গেছে। ডিভাইসগেো চীন থেকে আনা। মাসুদ এবং কবির টেলিকম অবৈধভাবে ডিভাইসগুলো বাংলাদেশে নিয়ে আসে।
আটকদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। তাদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান সিআইডির ওই কর্মকর্তা।