চলতি ২০২০-২১ অর্থবছর শেষে বাজেটের প্রাক্কলন অনুযায়ী ৮ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধিই অর্জিত হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। মঙ্গলবার অর্থবিভাগের এক বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এ তথ্য জানান।
এর আগে আজ সকালে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) জানিয়েছে চলতি অর্থবছরে (২০২০-২০২১) বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৮ শতাংশ হতে পারে। পাশাপাশি সংস্থাটি বলছে, চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতির হার সাড়ে ৫ শতাংশের ঘরে থাকবে। এডিবির এই পূর্বাভাসের প্রেক্ষিতেই অর্থমন্ত্রী ওই প্রতিক্রিয়া জানান।
এডিবির প্রক্ষেপণে সন্তোষ প্রকাশ করে অর্থমন্ত্রী বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকীতে দেশের মানুষ মহামারির মধ্যেও মনপ্রাণ দিয়ে কাজ করেছে। তারা দেশকে ভালবেসে কর্ম স্পৃহা দেখিয়েছে বলেই এই অর্জন আসতে যাচ্ছে। তিনি বলেন, বাঙ্গালী জাতি বীরের জাতি। শত বাধা বিপত্তিকে মারিয়ে এগিয়ে চলাই এদের স্বভাব। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না। করোনার মধ্যে এই অর্জনই সেটার প্রমাণ করে। আমাদের রেমিট্যান্সের অবস্থা অত্যন্ত ভাল, গত দুমাসে শুধুমাত্র রেমিট্যান্সেই আমাদের ৫০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। রফতানি বাণিজ্য পুনরায় আশানুরূপ অবস্থানে আসতে শুরু করেছে। তাই সবকিছু মিলে আশা করা যায় আমাদের এ অর্থবছরের প্রাক্কলন ৮.১ বা ৮.২ অর্জিত হবে।
এডিবির এ প্রাক্কলন অনুযায়ী ২০২০-২০২১ অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি এ অঞ্চলে চীন ও ভারতে পরেই অবস্থান করছে। যেখানে কোরিয়া, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, পাকিস্তান, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ডের কারো অবস্থান বাংলাদেশের উপরে নয়।
এর আগে করোনার নেতিবাচক প্রভাবের মধ্যেও যে প্রবৃদ্ধির যে প্রাক্কলন এডিবি করেছিল সেখানে অন্যান্য দেশের ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি থাকলেও বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ধনাত্মক এবং এশিয়ার মধ্যে সবার উপরে। আশা করা যায় এ অর্থবছরেও এশিয়ার মধ্যে আমাদের অবস্থান সবার উপরে থাকবে।