কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ায় জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) জালিয়াতি করে অন্যের জমি রেজিস্ট্রেশন ও দখলের অভিযোগে করা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মহিবুল ইসলাম (৪০) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কুষ্টিয়া মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক আকিবুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) অভিযানে কুষ্টিয়া শহরের বড়বাজার এলাকার মোহাম্মদ আলীর ছেলে মহিবুলকে গ্রেফতার করা হয়।
সোমবার দুপুরে তিনি কুষ্টিয়ার সদর আমলি আদালতের বিচারক দেলোয়ার হোসেনের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এরপর তাকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।
এদিন দুপুরে পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে একই আদালত মামলার অপর আসামি শহর যুবলীগের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির আহ্বায়ক আশরাফুজ্জামান সুজনের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এ মামলায় গ্রেফতারকৃত অন্য আসামিরা হলেন-কুষ্টিয়া শহরের আড়ুয়াপাড়ার মো. ওয়াদুল ওরফে মিন্টু খন্দকার (৬০), কুমারখালী উপজেলার শালঘর মধুয়া গ্রামের আতিয়ার শেখের ছেলে মো. মিলন হোসেন (৩৮), মিন্টু খন্দকারের বোন লাহিনী দাসপাড়ার বাসিন্দা আব্দুস সাত্তার শেখের স্ত্রী ছানোয়ারা খাতুন (৫০) এবং অপর বোন খন্দকার আব্দুল আজিজের স্ত্রী জাহানারা খাতুন (৪৫)।
একই সঙ্গে পরিচয়পত্র জালিয়াতি করে জমি রেজিস্ট্রেশনের ঘটনায় ক্রেতা হিসেবে জড়িত থাকার অভিযোগে মিরপুর উপজেলার সাহাজ উদ্দিনের ছেলে মহিবুল ইসলামকে (৪৫) গ্রেফতার করা হয়।
উল্লেখ্য, জাতীয় পরিচয়পত্র জালিয়াতি করে একটি চক্রের সদস্যরা নিজেরাই ক্রেতা-বিক্রেতা সেজে অন্যের জমি রেজিস্ট্রেশন ও দখল করেন-এমন খবর কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে প্রচার হলে বিষয়টি পুলিশের নজরে আসে। পরে ওই জালিয়াত চক্রের বিরুদ্ধে শহরের এন এস রোডের বাসিন্দা এম এম এ ওয়াদুদ তার প্রায় ১০০ কোটি টাকা মূল্যের জমি বিক্রি ও হস্তান্তরের মাধ্যমে দখল চেষ্টার অভিযোগে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১৮ জনের নাম উল্লেখ ছাড়াও অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জনকে আসামি করা হয়। এরপর মামলার এজাহারভুক্ত সাত আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ।