চট্টগ্রাম: দেশে প্রথম বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) আমদানি করা পরিবেশবান্ধব লো-সালফারযুক্ত প্রায় ১৫ হাজার টন জ্বালানি তেল নিয়ে জাহাজ ভিড়েছে ডলফিন জেটিতে।
সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে পতেঙ্গার মেঘনা অয়েল কোম্পানির ডলফিন জেটি-৫ এ ভিড়ে ‘এমটি টিএমএন প্রাইড’।
এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) চেয়ারম্যান মো. সামছুর রহমান।
উপস্থিত ছিলেন বিপিসির পরিচালক (অপারেশন ও পরিঃ/বিপণন) সৈয়দ মেহদী হাসান, ঊর্ধ্বতন মহাব্যবস্থাপক (বাঃ ও অপাঃ) মো. আবু হানিফ, পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মাসুদুর রহমান, মেঘনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মীর ছাইফুল্লাহ-আল-খালেদ, যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. গিয়াস উদ্দিন আনসারী ও বাংলাদেশ বাঙ্কার সাপ্লাইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মিজানুর রহমান মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক আবদুল রাজ্জাক।
শূন্য দশমিক ৫ (০.৫) শতাংশ সালফার কন্টেন্টযুক্ত ফার্নেস অয়েল সরবরাহের জন্য যমুনা, পদ্মা ও মেঘনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে বাংলাদেশ বাঙ্কার সাপ্লাইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিবিএসএ) সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোর সম্প্রতি চুক্তি হয়।
প্রথম পর্যায়ে চুক্তি স্বাক্ষরকারী ১০টি প্রতিষ্ঠান পোর্টল্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল (ওটি নিউ শাহ আমানত-১), মেসার্স ফ্রাংক ট্রেড (ওটি সুলতান শাহ), মেসার্স ওশান ফুয়েলস ইন্টারন্যাশনাল (ওটি মিক মাহী), মেসার্স এ আর করপোরেশন (ওটি আতিফা জাহান), মেসার্স সী মেরিন ফুয়েল সাপ্লায়ার্স অ্যান্ড কোং (ওটি নিউ সী কুইন এক্সেস-১), মেসার্স জিএল শিপিং লাইন্স (ওটি মিক হুদয়-১), মেসার্স আল নূর করপোরেশন (ওটি কর্ণফুলী ডিলাক্স-৭), মেসার্স ওহাব সী মেরিন সার্ভিসেস কোং (ওটি মিউচুয়াল এক্সপ্রেস) এবং মেসার্স খিজির (আ.) এন্টারপ্রাইজ (ওটি এসএমএস-১), মেসার্স কোস্টাল ক্যারিয়ার্স লিমিটেড (এমটি ইমপ্রেস) ০.৫ শতাংশ সালফার কন্টেন্টযুক্ত ফার্নেস অয়েল বহন ও সমুদ্রগামী জাহাজে সরবরাহের অনুমতি পেল।
আনুষ্ঠানিকতা শেষে বন্দরের সব সমুদ্রগামী জাহাজ বাংকারিং সুবিধা পাবে। এর ফলে দেশের সমুদ্রবন্দরে আন্তর্জাতিকমানের বন্দরের সমমানের জ্বালানি তেল সংগ্রহের সুবিধা নিশ্চিত হবে।
সূত্র জানায়, ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশন (আইএমও) ০.৫ শতাংশ মাত্রার সালফারসমৃদ্ধ তেল ব্যবহারের জন্য ৬ বছর আগে সদস্য দেশগুলোর প্রতি নির্দেশনা দিয়েছিল; যা বিশ্বব্যাপী চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে কার্যকর হয়। সেই নির্দেশনা বাস্তবায়নে জ্বালানি মন্ত্রণালয় ২০১৪ সালে জাহাজে জ্বালানি তেল সরবরাহে ‘বাংকারিং নীতিমালা’ প্রণয়ন করে; যা বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয় বিপিসিকে। এ নীতিমালা বাস্তবায়নে উদ্যোগ নেয় বিপিসি। ইতিমধ্যে তেল বিপণন, বিক্রয় ও মজুদ রাখার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি শেষ করেছে বিপিসি।
প্রথম দফা আমদানির পর দ্বিতীয় দফায় ছয় মাসের জন্য সালফারসমৃদ্ধ তেল সরবরাহের লক্ষ্যে প্রায় ১২ লাখ টন তেল আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে সরকারি সংস্থা বিপিসি। এর মধ্যে ৯ লাখ ৩০ হাজার থেকে ৯ লাখ ৯০ হাজার টন গ্যাসলিন, এক লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন জেট অয়েল, ২০ হাজার টন ফার্নেস অয়েল, ৪৫ হাজার টন মোগ্যাস-৯৫ রোন এবং ৮০ হাজার টন মেরিন অয়েল রয়েছে। এর জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করেছে বিপিসি।