মুন্সিগঞ্জ: নাব্যতা সংকটের কারণে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে অনির্দিষ্টকালের জন্য ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন পদ্মাপারি দেওয়ার জন্য ঘাটে আসা যাত্রীরা।
সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে অনেকেই ফেরি বন্ধের খবর না জেনে ঘেটে এসে ফিরে যাচ্ছেন। অনেক মোটরসাইকেলচালক ঘাটে এসে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে ট্রলারে করে কাঁঠালবাড়ি ঘাটে যাচ্ছেন। ফেরি চলাচল বন্ধের কারণে লঞ্চ ও স্পিডবোটে যাত্রীদের বেশি উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। ফেরি চলাচলের পথে প্রতিনিয়ত পলি আসছে ও পদ্মার চর ভেঙে পড়ছে। এতে দেখা দিয়েছে নাব্যতা সংকট। বিআইডব্লিউটিএ এর ড্রেজিং বিভাগ বলছে, একটি চ্যানেল দিয়ে ফেরি চলাচলের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিএ এর অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. সাইদুর রহমান জানান, কয়েকদিন ধরেই পদ্মার চর ভেঙে পলি এসে জমছে। এছাড়া খননকালে অতিরিক্ত পলি জমা হচ্ছে ফেরি চলাচলের পথে। ড্রেজিং করেও সংকট নিরসন করা যাচ্ছে না। একটি চ্যানেল দিয়ে ফেরি চালুর জন্য পরিকল্পনা চলছে। তবে এটি দিয়ে পরীক্ষামূলক ফেরি চালুর পর বিস্তারিত বলা যাবে।
শিমুলিয়া ঘাটের বিআইডব্লিউটিসির ব্যবস্থাপক সাফায়েত আহমেদ জানান, ফেরি চলাচলের চ্যানেল বিপর্যয় হওয়ায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ফেরি বন্ধ আছে। কবে ফেরি চালু হবে এ বিষয়ে বলা যাচ্ছে না। সবাইকে অনুরোধ করা হচ্ছে অন্য রুট ব্যবহার করার জন্য।
শিমুলিয়া ঘাটের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর হিলাল উদ্দিন জানান, শিমুলিয়া ঘাটে পারের অপেক্ষায় আছে ৫০টির মতো যানবাহন। এর মধ্যে বেশিরভাগ পণ্যবাহী ট্রাক ও পিকআপ ভ্যান। যাত্রীবাহী গাড়ি কিছু ঘাটে এসে আবার ফিরেও যাচ্ছে।
কয়েকজন মোটরসাইকেল চালক জানান, মোটরসাইকেল নিয়ে শিমুলিয়া ঘাট থেকে ট্রলারে কাঁঠালবাড়ী ঘাট যেতে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা লাগছে। যেখানে ফেরি চালু থাকলে ৭০ টাকা লাগতো। ঝুঁকির মধ্যেই মোটরসাইকেল নিয়ে বাধ্য হয়ে যেতে হচ্ছে।
ট্রাক চালকরা জানান, তিন-চার দিন ধরে এই ঘাটে অবস্থান করছি। কবে ফেরি চালু হবে কিছুই জানা যাচ্ছে না। অন্য রুট ব্যবহার করার ভাড়াও কাছে নেই।