বরিশাল: বরিশাল নদী বন্দরে ঢাকা থেকে আসা পারাবত-১১ লঞ্চের তৃতীয় তলার ৩৯১ নম্বর কেবিন থেকে উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাত নারীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় বলে ধারণা করছে পুলিশ।
তার গলার একটি দাগ থেকে এ ধারণা করা হচ্ছে বলে জানান মরদেহের সুরতহালকারী পুলিশের এএসআই অলক।
এদিকে সালোয়ার কামিজ পরা ওই নারীর কেবিনে তার ওড়না বা কোনো মালামাল না পাওয়ায় সন্দেহ জোরালো হয়ে পুলিশের।
লঞ্চের সিসি ক্যামেরার ছবি থেকে ঘটনাটি আরও স্পষ্ট হবে। সেখান থেকে নিশ্চিত হওয়া যাবে অজ্ঞাত ওই নারীর সঙ্গে আর কেউ ছিলেন কি না।
পুলিশ বরিশাল সদর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, যে নাম ও মোবাইল নম্বর দিয়ে লঞ্চের কেবিন নেওয়া হয়েছে, তা সঠিক নয় বলে প্রাথমিক ভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে সবকিছু আরও কঠোর ভাবে পর্যবেক্ষণ করার পাশাপাশি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সোমবার সকালে নৌ পুলিশকে খবর দেওয়ার পর তারা মরদেহ উদ্ধার করে। মরদেহ উদ্ধারের সময় ঘটনাস্থলে সিআইডির দলসহ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট কাজ করে। তবে এখন পর্যন্ত ৩৫-৪০ বছর বয়সী ওই নারীর পরিচয় মেলেনি।
সিসিটিভির ফুটেজ দেখে লঞ্চ মাস্টার মো. শামীম বলেন, রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা ৩১ মিনিটে ঢাকা সদর ঘাট থেকে এক ব্যক্তি ওই নারীকে নিয়ে লঞ্চে ওঠেন। তারা লঞ্চের তৃতীয় তলার ৩৯১ নম্বর সিঙ্গেল কেবিনে ওঠেন। সোমবার বরিশাল ঘাটে লঞ্চ ভিড়লে ভোর ৪টা ৪৭ মিনিটে মধ্যবয়সী ওই ব্যক্তি একা লঞ্চ থেকে নেমে যান।
পুলিশ বরিশাল সদর নৌ থানার ওসি জানান, মৃত নারীর গলার নিচে আঘাতের চিহ্ন আছে। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের পর হত্যার প্রকৃত কারণ জানা যাবে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।